সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেটা গত শতকের ছয়ের দশক। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিয়ে করে বসলেন বলিউডের তৎকালীন 'সেনসেশন'কে। প্রথমজন মনসুর আলি খান পতৌদি। দ্বিতীয়জন শর্মিলা ঠাকুর। তাঁদের মেয়ে সোহা আলি খান সম্প্রতি এক পডকাস্টে মা-বাবার দাম্পত্যের শুরুর দিনগুলির কথা বলতে গিয়ে জানালেন শর্মিলার অদ্ভুত 'কীর্তি'র বিষয়ে। জানালেন, কীভাবে তাঁর মা রাতের ঘুমের মাঝখানে উঠে খানিকটা মেকআপ করে নিতেন। কিন্তু কেন এমন অভ্যাস ছিল শর্মিলার?
মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন শর্মিলা। ততদিনে তিনি রীতিমতো তারকা। সত্যজিতের 'অপুর সংসার'-এ আত্মপ্রকাশ। তারপর বলিউডে 'কাশ্মীর কি কলি' থেকে 'অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস'... শর্মিলা তখন একেবারে 'টক অফ দ্য টাউন'। সাধারণত বলিউডের নায়িকারা বিয়ে করলে তাঁদের বাজার পড়ে যায়, এরকম একটা আজব কথা শোনা যায়। শর্মিলা অবশ্য এসব ধারণাকে দশ গোল দিয়েছিলেন। বিয়ের পরের বছরেই মুক্তি পেয়েছিল তাঁর সুপারহিট ছবি 'আরাধনা'। এরপরও লাগাতার সফল ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মনসুরের সঙ্গে তাঁর রসায়ন নিয়েও সেযুগের ম্যাগাজিনের অনেক কালি খরচ হয়েছে। এতদিন বাদে সেই সময়টা ফের ফিরে এল কন্যা সোহার স্মৃতিচারণায়।
সোহা তাঁর পডকাস্টে সোনাক্ষী সিনহাকে নিয়ে এসেছিলেন। সেই সময় দাম্পত্য নিয়ে কথা বলতে গিয়েই তিনি মা-বাবার দাম্পত্যের শুরুর দিকের সময়টা নিয়ে কথা বলেন। জানান, ''মা আমাকে একবার বলেছিল যখন ওদের বিয়ে হয়েছিল, সেই সময় বাবা ঘুম থেকে ওঠার আগেই নাকি মা ঘুম থেকে উঠে পড়ত। তারপর মেকআপ সেরে নিত। এবং তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ত। এর কারণ হল, মা জানত সে শর্মিলা ঠাকুর। আর চাইত বাবা যেন ঘুম থেকে শর্মিলা ঠাকুরকেই দেখে। যদিও খুব বেশিদিন এমনটা চলেনি।''
তবে সোহা জানিয়েছেন, তাঁর এমন অভ্যাস কখনওই ছিল না। স্বামী কুণাল খেমু ঘুমনোর সময় তিনি গিয়ে মেকআপ করে আসেন না। অন্যদিকে সোনাক্ষীও জানান, তিনি এই ধরনের কিছু কখনও ভাবেননি। তাঁর ও তাঁর স্বামীর মধ্যে চেহারা কোনওদিনই আসেনি। তিনি নিজে তাঁর স্বামীর নানা গুণ থেকেই তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শত্রুঘ্নকন্যা।
