সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খ্যাতি তাঁর গল্পবলিয়ে হিসেবে। ইতিহাস হোক বা রহস্য রোমাঞ্চ - তাঁর গল্প বলার ধরনে সহজ সরল কাহিনি হয়ে ওঠে অনবদ্য। সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট সেই অসামান্য চরিত্র তারিণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে তারিণী খুড়ো এবার আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। অনন্ত মহাদেবনের 'দ্য স্টোরিটেলার' সিনেমার ১.৩৮ মিনিটের ট্রেলারে ইতিমধ্যেই চমক দিয়েছেন দুই প্রধান চরিত্র - 'তারিণী খুড়ো' পরেশ রাওয়াল, নিদ্রাহীনতায় ভুগতে থাকা ব্যবসায়ী আদিল হুসেন। সরল গল্পের আড়ালে ব্যবসায়ীর জটিল মনস্তাত্বিক টানাপোড়েনও এই কাহিনির অন্যতম বিষয়। জানা যাচ্ছে, আগামী ২৮ তারিখ ডিজনি+হটস্টারে দেখা যাবে সত্যজিতের কাহিনি অবলম্বনে এই সিনেমাটি। তার অপেক্ষায় দর্শকরা।
সত্যজিৎ বর্ণিত তারিণী খুড়ো বেনিয়াটোলার বাসিন্দা। পুরো নাম তারিণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাই উঠে আসে তাঁর গল্পে। সেই গল্প শোনানোই পেশা হয়ে উঠেছে তারিণী খুড়োর। এহেন গল্পবলিয়ের কাছে হাজির হন এক ব্যবসায়ী, যিনি অদ্ভুত রোগে ভুগছেন। ধনসম্পত্তির মালিক কিন্তু রাতে ঘুমোতে পারেন না। নিদ্রাহীনতা কাটাতে খুড়োর কাছে তাঁর আবদার, গল্প বলে রাতের ঘুম এনে দিতে হবে। পরিচালক অনন্ত মহাদেবন তারিণী খুড়োর চরিত্রে তুলে এনেছেন পরেশ রাওয়ালকে। আর ব্যবসায়ীর চরিত্রে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেতা আদিল হুসেন।
'দ্য স্টোরিটেলার' সিনেমায় বাংলার একঝাঁক অভিনেতা। ফাইল ছবি।
গল্পের কাহিনি অনুযায়ী, সাদামাটা পরেশ রাওয়াল 'ইনসমনিয়া'য় ভুগতে থাকে আদিল হুসেনকে গল্প শোনাতে শোনাতেই জড়িয়ে পড়েন জটিল মনস্তত্বে। বাংলাকে কেন্দ্র করে অনন্ত মহাদেবনের 'দ্য স্টোরিটেলার' সিনেমায় রয়েছেন টলিউডের একঝাঁক অভিনেতা। ট্রেলারে রোহিত মুখোপাধ্যায়, অনিন্দিতা বসু, তন্নিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়দের দেখে বোঝাই যাচ্ছে, নিজেদের ছোট ছোট চরিত্রে বেশ সাবলীল। ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করে পরেশ রাওয়াল বলছেন, ''তারিণী খুড়ো চরিত্রটা আমাকে জ্ঞান, বিস্ময়, রসবোধের মিশ্রণে ভরিয়ে তুলেছে। এটা তো শুধু একজন গল্পবলিয়ের কাহিনি নয়। চরিত্রটার যাত্রাপথে যে আবেগ রয়েছে, তা আপনাকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে। এটা আমার আত্মারই একটা অংশ বলতে পারেন। আমার খুব আনন্দ হচ্ছে যে আমার অভিনীত 'দ্য স্টোরিটেলার' সকলের কাছে পৌঁছে যাবে আর দুদিনের মধ্যেই। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া পেতে আমি মুখিয়ে আছি।'' সত্যজিৎ রায়ের কলমের বর্ণনায় তারিণী খুড়ো রুপোলি পর্দায় কতটা জীবন্ত হয়ে ওঠেন, তা কিন্তু পরিচালক অনন্ত মহাদেবনের পরীক্ষা।