বৃষ্টি ভাণ্ডারি: লালকেল্লার অদূরে বিস্ফোরণকে 'জঙ্গি হামলা' বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। রাজধানী দিল্লির বুকে কীভাবে এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের কাছে বিশেষ আর্জি তৃণমূলের তারকা সাংসদ জুন মালিয়ার।
বুধবার জুন বলেন, "জঙ্গিহামলা মানুষকে ভয় পাইয়ে দেয়। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে। আমি আশা করব এই ঘটনা কেন্দ্রীয় সরকার তৎপরতার সাথে দেখবেন। অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে। মূল ষড়যন্ত্রীদের যাতে তাড়াতাড়ি ধরা যায় আশা করব। এই ধরনের ঘটনা শুধু দিল্লি কেন, কোথাও যেন না হয়।" সাধারণ মানুষের উদ্দেশে সাংসদ-অভিনেত্রীর বার্তা, "আতঙ্কিত হবেন না। সচেতন হোন।" বলে রাখা ভালো, জুন মালিয়া বর্তমানে শুধু আর অভিনেত্রী নন। রাজনৈতিক আঙিনায় পা রেখেছেন। মেদিনীপুরের তৃণমূল সাংসদ তিনি। এর আগে ঘাসফুল শিবিরের তরফেও এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দিল্লির এই ঘটনা যে নিরাপত্তার বড়সড় ফাঁকফোঁকরের ফল ছাড়া কিছু নয়, তাও দাবি করা হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিট গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন। এবার জুনও সেই দ্রুত তদন্তের দাবিতেই সরব।
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর, সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, বিকেল ৪টের দিকে ঘাতক গাড়িটি প্রবেশ করে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা ছিল গাড়িটি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন পার্কিং লট থেকে বেরনোর সময় গাড়িতে একজনই ছিল। সেই মেট্রো স্টেশনের সামনে পর্যন্ত গাড়িটি চালিয়ে এনে বিস্ফোরণ ঘটায়। গাড়ির মধ্যে থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের জেরে বিস্ফোরণ। আত্মঘাতী জঙ্গি উমর নবির ছকেই দিল্লিতে বিস্ফোরণ, মত তদন্তকারীদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে চিকিৎসক-সহ কমপক্ষে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি বিস্ফোরণকে ‘জঙ্গি হামলা’ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ভারতের।
