সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার সকাল হতে না হতেই টলিপাড়ায় আছড়ে পড়েছে দুঃসংবাদ। প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভদ্রা বসু। জানা গিয়েছে, গভীর রাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এদিন নিমতলা ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বছর পঁয়ষট্টির অভিনেত্রী। তাঁর মৃত্যুতে বিনোদুনিয়ায় নেমেছে শোকের ছায়া। তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'বেলা'। অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় এই ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিলে 'বেলা' অর্থাৎ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মায়ের চরিত্রে। অভিনেত্রীর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া। শোকজ্ঞাপন করেছেন 'বেলা'র পরিচালক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়ও। পরিচালকের সঙ্গে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী ভদ্রা বসুর সঙ্গে তাঁর 'বেল' ছবির শুটিংয়ের নানা টুকরো স্মৃতি ভাগ করে নিলেন তিনি।
পরিচালক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "খবরটা শুনে সত্যিই বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমি যখন ভদ্রা দির মৃত্যু সংবাদ পাই তখন প্রায় ভোর রাত। তাঁর সঙ্গে আমার 'বেলা' ছবির শুটিং করতে গিয়েই প্রথম আলাপ। একজন অসামান্যা অভিনেত্রী এবং একজন খুব ভালো মানুষ। সহজেই কীভাবে যেন তিনি আপন করে নিলেন। মনেই হত না যে। এই প্রথম তাঁর সঙ্গে কাজ করছি। শুধু কি তাই? আআর এই ছবির শুটিংয়ের সময় কত ইনপুটস তিনি দিয়েছে। আমরা সেগুলি শুনে ছবিতেও ব্যবহার করেছি। আসলে আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি। কত উচ্চারণ ভদ্রা দি নিজে ঠিক করে দিয়েছেন। কীভাবে বললে শুনতে ভালো লাগবে তাও বলে দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে একটা আলাদা সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। 'বেলা'র সমস্ত প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে প্রিমিয়ারে তিনিন গিয়েছেন। আমরা একজন অসামান্যা অভিনেত্রীকে হারালাম।"
'বেলা' ছবির একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছিল বিদেশ থেকে ফিরে বেলা মায়ের ঘরে গিয়ে দেখেন মায়ের বিছানায় তাঁর ছবিতে মালা পরিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যা দেখে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন মেয়ে। সেই স্মৃতি উসকেই অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, "এবার থেকে ছবিতেই শুধু ভদ্রা দির সঙ্গে দেখা হবে। আজ সকালে ঋতুর সঙ্গেও কথা হচ্ছিল। খুব মনে পড়ছে। আজ সিয়াটেলের মাটিতে আমাদের ছবির প্রিমিয়ার। সেখানে বাংলা ছবি নিয়ে একটি উৎসব শুরু হয়েছে এদিন। প্রথমদিনে আমাদের ছবি প্রদর্শিত হবে। সেখানেও ইতিমধ্যেই আমি এই দুসংবাদ পৌঁছেছি। তবে ভদ্রা দি থেকে গেলেন। আমাদের প্রণামে, আমাদের স্মরণে, আমাদের প্রার্থনায় ভদ্রা দি সারা জীবন থেকে যাবেন। অন্তত আমার কাছে তো উনি থেকে যাবেন সারা জীবন।"
