স্টাফ রিপোর্টার: অভিমন্যু ঈশ্বরণও কি রাজিন্দর গোয়েল, পদ্মাকর শিভালকর, অমল মুজুমদার, জলজ সাক্সেনার উত্তরসূরি হতে চলেছেন? মানে যাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ঝুড়ি-ঝুড়ি রান করে বা উইকেট নিয়েও কোনওদিন নীল টুপি মাথায় তুললে পারেননি। গত কয়েক বছরে একটার পর একটা সিরিজে টেস্ট দলের অংশ হলেও অভিষেক হয়নি বাংলার রনজি অধিনায়কের। ফলে আরও বাড়ছে পূর্বে উল্লেখিত ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রবাদপ্রতিম সব নামের সঙ্গে অভিমন্যুর একাসনে বসা নিয়ে জল্পনা।
সদ্য ভারত 'এ' দলের হয়ে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ' দলের বিরুদ্ধে। তারপরও অভিমন্যু নীল জার্সিতে অভিষেকের আশা ছাড়ছেন না। সরাসরিই বলছেন, "আমি এখনও দেশের হয়ে খেলার বিষয়ে আশাবাদী। সেই স্বপ্ন এখনও দেখি।” তবে এভাবে একটার পর একটা সিরিজে দলের সঙ্গে ঘোরাটা যে চ্যালেঞ্জ, অস্বীকার করছেন না অভিমন্যু। "পরিস্থিতিটা কখনও কখনও দমবন্ধকর হয়ে ওঠে ঠিকই। তবে সত্যি বলতে প্রত্যেকের জীবন ভিন্ন। প্রত্যেকের যাত্রাপথ ভিন্ন। কে কীভাবে সেই যাত্রাপথের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে, সেটাই আসল। নিজের উপর ভরসা রাখতে হবে। পথটা উপভোগ করতে হবে। ক্রিকেট এমন খেলা, এতে ওঠা-পড়া লেগেই থাকে। তবে উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে। আর সুযোগ পেলে তা হাতছাড়া করা যাবে না,” নিজেকেই যেন মন্ত্র দিচ্ছেন অভিমন্যু। তিনি টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার পর ভারতীয় দলের হয়ে লাল বলের ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছে মোটামুটি ১৫ জনের। তবে শিকে ছেড়েনি অভিমন্যুর।
সোমবার কল্যাণীতে অসমের বিরুদ্ধে রনজি ম্যাচে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন অভিমন্যু। অযথা ঝুঁকি না নিলে আরও বাড়ত রানটা। তিনি নিজেও মানছেন সেকথা। বলছিলেন, “যেভাবে খেলছিলাম, এমনিই রান হচ্ছিল। শটটা না খেললেই পারতাম। একটা ভালো বলে আউট হলে ততটা গায়ে লাগে না। তবে ওই বলটা তেমন ছিল না। আমি আউট না হলে আরও কিছু রান করতে পারতাম। দলও হয়তো আরও একটু ভালো জায়গায় থাকত দিনের শেষে।” আর এই স্কোরে যে ফের জাতীয় দলে ঢোকার দাবিদার হওয়া যাবে না, তাও অজানা নয় তাঁর। বাংলা অধিনায়কের কথায়, "আমি এখন বাংলার জার্সিতে ভালো খেলতে চাই। ব্যাটার হিসাবে ভালো শুরু পেলে বড় রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আজকে আমি করতে পারিনি।” তবে ভাগ্যের উপর কিছু ছাড়ছেন না অভিমন্যু। বরং নিজের পারফরম্যান্স ভালো করে ভাগ্যের লিখন বদল করাই লক্ষ্য তাঁর।
