সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ইতিহাস গড়লেন আরশাদ খান। মধ্যপ্রদেশের বাঁ-হাতি পেসার ৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে চণ্ডীগড়ের ইনিংসকে বলা চলে একার হাতেই শেষ করে দিলেন। যা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সেরা স্পেল। তাঁর এই দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের সৌজন্যে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে মধ্যপ্রদেশ।
২৬ বছর বয়সি এই পেসার আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলেছেন। এই মরশুমে তিনি রয়েছেন গুজরাট টাইটান্সে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে তিনি পিছনে ফেলেছেন হায়দরাবাদের টি রবি তেজা, গুজরাটের আরজান নাগওয়াসওয়ালাদের। ২০২৩ সালে ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে ১৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন রবি। একই বছর ১৩ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন নাগওয়াসওয়ালাও।
তালিকায় এর পর রয়েছেন ডিএস পুনিয়া। ২০১৫ সালে সার্ভিসেসের এই পেসার ১৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। একই মরশুমে বরোদার স্বপ্নিল সিং ১৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে একটা মেডেন। অর্থাৎ ওভারপিছু মাত্র ২.২৫ রান দিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কৃপণ বোলিংয়ের দেখা পাওয়া দুর্লভ।
সকালে খেলা থাকায় পিচের গতিবিধির দারুণভাবে কাজে লাগান আরশাদ। তাঁর দ্বিতীয় ওভারেই চণ্ডীগড় ওপেনার অর্জুন আজাদ এবং অধিনায়ক শিবম ভাম্ব্রিকে শূন্য রানে আউট করেন। পরের ওভারে নিখিল ঠাকুরও (৪) তাঁর বলে সাজঘরে ফেরেন। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তোলে তারা। জবাবে মাত্র ১৪ ওভারে ৭ উইকেটে জয়ের রান তুলে নেয় মধ্যপ্রদেশ।
