সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেদিন থেকে ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে তিনি কোচ হিসাবে ঢুকেছেন সেদিন থেকেই ভারতীয় দলের ভারসাম্য চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ অতিরিক্ত পরীক্ষানিরীক্ষা। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার নামে নিজের পছন্দের কিছু ক্রিকেটারে খেলিয়ে চলেছেন। আবার যাঁদের খেলাচ্ছেন, তাঁদেরও নির্দিষ্ট কোনও ব্যাটিং অর্ডার নেই। বোলারদেরও নিজেদের কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই ভারতীয় দলের হেডকোচের। তিনি স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন, কোনও ব্যাটিং অর্ডারের ধার তিনি ধারেন না।
গম্ভীর (Gautam Gambhir) সাফ বলছেন, "আমার মনে হয় ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট খেলার ধরন থাকা দরকার। সেটাই বজায় রাখতে হয়। নির্দিষ্ট ব্যাটিং অর্ডার ব্যাপারতা অপ্রয়োজনীয়। একমাত্র ওপেনিং জুটি ছাড়া সেসবের প্রয়োজন হয় না।" তবে গম্ভীর মেনে নিয়েছেন, টেস্টের ক্ষেত্রে একটা সঠিক ব্যাটিং অর্ডার প্রয়োজন হয়। "টেস্টে হয়তো নির্দিষ্ট ব্যাটিং অর্ডারের প্রয়োজন। কিন্তু আমার মনে হয় এটা নিয়ে অহেতুক কথা হয়।"
আসলে গম্ভীরের জমানায় একাধিক ক্রিকেটারের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে বড্ড বেশি পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ওয়াশিংটন সুন্দর। কখনও তাঁকে তিন নম্বরে পাঠানো হয়, কখনও আটে। ওয়ানডে-তে আবার কখনও তাঁকে চারে নামানো হয়, কখনও ছয়ে। যা নিয়ে গম্ভীরের সাফাই, "আমরা এমন একজনের সম্পর্কে কথা বলছি, যার ম্যাঞ্চেস্টারে সেঞ্চুরি আছে, ওভালে হাফ সেঞ্চুরি আছে। টেস্টে যার গর চল্লিশের বেশি। অনেক সময় দলের ব্যালন্সের ব্যাপারেও নজর দিতে হয়।" গম্ভীর বলছেন, "ওয়াশিংটন ৩ হোক, পাঁচ হোক বা আট সর্বত্রই দারুণ খেলেছে। ও আগামী দিনেও ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এভাবেই অবদান রাখবে।"
আসলে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর সব সমালোচনাকেই ফুঁৎকারে উড়িয়েছেন গম্ভীর। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাইরের কারও সমালোচনা বা পরামর্শ, কোনওটাই শুনবেন না তিনি। গম্ভীরের সাফ কথা, “সবার নিজের কাজের সীমা থাকে। সবার সেই সীমার মধ্যে থাকা উচিত।”
