সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রনজিতে টানা দুই ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পাওয়ার দোরগোড়ায় বাংলা। মাঝে শুধু অসমের ৭ উইকেট। হাতে এখনও একটা দিন। মহম্মদ শামি, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালরা যেভাবে আগুনে বল করছেন, তাতে কাজটা একেবারেই কঠিন নয়। অসম এখনও ১৪৪ রানে পিছিয়ে আছে। ইনিংসে জিততে পারলে বা ১০ উইকেটে জিতলে বোনাস পয়েন্ট ঢুকবে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের পকেটে। প্রথম ইনিংসে অসম ২০০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বাংলা করে ৪৪২ রান। তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে অসমের রান ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৮।
প্রথম দিনের শেষে অসমের রান ছিল ৮ উইকেটে ১৯৪। শুরুর ধাক্কা সামলে ওপেনার প্রদ্যুৎ সাইকিয়ার (৩৮) সঙ্গে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন স্বরূপম পুরকায়স্থ (৬৮)। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই শামি-সুরজদের দাপটে ২০০ রানে শেষ হয়ে যায় অসমের ইনিংস। বাংলার দুই বোলারই ৩টি করে উইকেট পান। বাংলার ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি। মাত্র ২ রানের মাথায় আউট হন সুদীপ কুমার ঘরামি। কিন্তু অধিনায়ক অভিমন্যু ও শাকির গান্ধীর লম্বা জুটিতে আর সমস্যায় পড়েনি বাংলা। শাকির আউট হন ৫৮ রানে। বাংলার রান দেড়শোর পেরোনোর পর ফিরে যান অভিমন্যু (৬৬)।
এরপর শাহবাজ আহমেদ ও সুমন্ত গুপ্তর ব্যাটিং দাপটে অসহায় হয়ে পড়ে অসম। রীতিমতো ওয়ানডের মেজাজে ব্যাট করেন দু'জন। শাহবাজ ১২২ বলে ১০১ রান করেন। ১১টি চারের পাশাপাশি ছিল ২টি ছক্কা। অন্যদিকে সুমন্ত গুপ্ত ৯৭ রানের মাথায় হিটউইকেট হন। ১৪টি চার মারলেও অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেন সুমন্ত। আগের ম্যাচে রেলওয়েজের বিরুদ্ধেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলার ইনিংস থামে ৪৪২ রানে।
২৪২ রান পিছিয়ে থেকে শুরুতেই বিপদ অপেক্ষা করে ছিল অসমের জন্য। এবারও বিপদের নাম মহম্মদ শামি ও সুরজ সিন্ধু। অসমের প্রথম দুই ব্যাটার ঋষভ দাস ও প্রদ্যুন সাইকিয়াকে শূন্য রানে ফেরান বাংলার দুই বোলার। শামি আরও একটি উইকেট পান। আপাতত ব্যাট করছেন দেনিশ দাস (৬৩) ও সুমিত ঘাদিগাঁওকর (৩০)। দুজনেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। চতুর্থ দিন তাঁরা বাধা না হয়ে উঠলে বোনাস-সহ জেতাটা অসম্ভব কিছু নয়। উল্লেখ্য, আগের ম্যাচেও ইনিংসে জিতে ৭ পয়েন্ট পেয়েছিল বাংলা।
