অস্ট্রেলিয়া: ৪৭৪, ২২৮-৯ (লাবুশানে ৭০, লিওঁ ৪১, বুমরাহ ৪-৫৬)
ভারত: ৩৬৯ (নীতীশ ১১৪, ওয়াশিংটন ৫০)
অস্ট্রেলিয়া ৩৩৩ রানে এগিয়ে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেলবোর্নে শেষ দুই টেস্ট জিতছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার 'পয়া' ভেন্যুতে জয়ের হ্যাটট্রিক কি সম্ভব? ভারতীয় সমর্থকদের যে স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছিলেন জশপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজরা, সেই স্বপ্ন এখন অলীক মনে হচ্ছে। কারণ দিনের শেষে ৩৩৩ রানে এগিয়ে অজিরা। হাতে আরও একটি উইকেট।
এদিন ১০৫ রানের লিড নিয়ে খেলতে নেমে অজিরা শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল। প্রথম ইনিংসে শিরোনাম কুড়নো কনস্টাসকে এদিন মাত্র ৮ রানে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ। উসমান খোয়াজাও আউট হন ২১ রান করে। তিন নম্বরে নামা মার্নস লাবুশেন একদিকে ইনিংসের হাল ধরলেও অন্য প্রান্তে একের পর এক উইকেট তুলতে থাকেন ভারতীয় পেসাররা। স্মিথকে (১৩) তুলে নেন সিরাজ। হেড দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। তাঁকে ফের ১ রানে ফেরান বুমরাহ। মার্শ এবং অ্যালেক্স কেরি এই ইনিংসেও ব্যর্থ। একটা সময় অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৯১ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল।
মনে হচ্ছিল ভারত অজিদের দেড়শোর আগেই অলআউট করে ফেলবে। কিন্তু সেখান থেকে লাবুশেন এবং কামিন্স পালটা লড়াই শুরু করেন। ভাগ্যও সঙ্গ দেয় দুই অজি ব্যাটারের। দুজনেই সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুজনের ক্যাচই ফসকান যশস্বী জয়সওয়াল। ওই জোড়া ক্যাচ মিসের জেরেই শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া বড় রান তুলে ফেলল। লাবুশেন করলেন ৭০, কামিন্স করলেন ৪১ রান। কামিন্স যখন আউট হলেন তখনও ভারতের কামব্যাকের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেই সম্ভাবনায় কার্যত জল দিল শেষ উইকেটের জুটি। লিও এবং বোল্যান্ড জুটি বেঁধে তুললেন অপরাজিত ৫৫ রান। শেষ উইকেট তুলতে না পারার এই পুরনো রোগ এদিন ভালোমতো ভোগাল ভারতীয় দলকে।
এখন প্রশ্ন হল, এই রান তুলে কি ম্যাচ জেতা সম্ভব? নাকি ড্রয়ের জন্য ঝাঁপানো উচিত রোহিতদের? মেলবোর্নে এর আগে শেষ ইনিংসে ৩৩২ রান তুলে জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেটা ১৯২৮ সালে। জিততে হলে সেই ১০০ বছরের ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। ২০২১-এ গাব্বাতে অবশ্য ৩২৯ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল এই ভারতই।