স্টাফ রিপোর্টার: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা হয়েছে। ২০২৭ বিশ্বকাপের কথা মাথায় ওয়ানডে’তে শুভমান গিলকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাকে নিয়ে চর্চা চলছে। আলোচনা আরও দুই ক্রিকেটারকে নিয়েও। তাঁরা, রবীন্দ্র জাদেজা আর মহম্মদ শামি।
জাদেজা আর শামি দু’জনকেই অস্ট্রেলিয়া সফরের টিমে রাখা হয়নি। যার পর জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে। যদিও জাদেজার ব্যাপারটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। জাদেজা গত বছরই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। আগরকর বলে দিয়েছেন, জাদেজা অবশ্যই তাঁদের ভাবনায় রয়েছেন। কম্বিনেশনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে টিমে তাঁকে রাখা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ায় মাত্র তিনটে ওয়ানডে খেলবে টিম। তিনটে ওয়ানডে’তে দু’জন বাঁ-হাতি স্পিনার নিয়ে যাওয়া যেত না। অক্ষর প্যাটেল রয়েছেন। ওয়াশিংটন সুন্দর আর কুলদীপ যাদব রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার যেরকম পরিবেশ, তাতে বেশি স্পিনার খেলানো হবে না, সবার জানা। ঠিক সেই কারণেই জাদেজাকে অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ানডে’তে ভাবা হয়নি।
তবে মহম্মদ শামির ব্যাপারটা আলদা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে শামি ভারতীয় টিমের বাইরে। আইপিএল একেবারেই ভালো যায়নি। গত বছর অস্ট্রেলিয়া সফরের স্কোয়াডে ছিলেন না। ইংল্যান্ডেও তাই। এশিয়া কাপেও তাঁকে ভাবা হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত কারও কারও মনে হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে হয়তো তাঁকে রাখা হবে। ভারতীয় পেসারের নিজেরও সেরকম আশা ছিল। শামির ঘনিষ্ঠমহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য বিশেষ জুতো প্রস্তুতও করিয়ে ছিলেন। শেষমেশ অবশ্য শামিকে ব্রাত্যই রাখা হল। যার পর অনেকেরই মনে হচ্ছে, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ‘স্কিম অফ থিংসে’ নেই শামি। জাতীয় নির্বাচক প্রধান একটা ব্যাপার বেশ ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য ‘প্রসেস’ তাঁরা শুরু করে দিয়েছেন। এখন বছর দেড়েক বাকি বিশ্বকাপের ঠিকই। কিন্তু এই সময়কালে খুব বেশি ওয়ানডে ম্যাচ নেই ভারতের। তাই বিশ্বকাপের কথা ভেবেই টিম নির্বাচন করা হয়েছে। কেউ কেউ বলছিলেন, গত কয়েক বছরে চোট সমস্যা বড় ভোগাচ্ছে শামিকে। এই অবস্থায় পরের বিশ্বকাপে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। যদি বিশ্বকাপের ভাবনায় না থাকেন, তাহলে কেন তাঁকে টিমে রাখা হবে?
আর একটা মহল অবশ্য বলছে, সামনেই রনজি ট্রফি শুরু হচ্ছে। সেখানে যদি শামি দুর্ধর্ষ কিছু করেন, তাহলে কি তাঁকে উপেক্ষা করতে পারবেন নির্বাচকরা? এটাও বলা হচ্ছে, গত সাত-আট বছর ভারতীয় পেস অ্যাটাকের অন্যতম ভরসার নাম ছিল শামি। দেশকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। দু’বছর আগে দেশের মাঠে বিশ্বকাপে কীরকম পারফর্ম করেছিলেন, সেটা এখনও সবার মনে রয়েছে। চোট নিয়েও বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। দেশের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, সেসব কীভাবে ভুলে গেল টিম ম্যানেজমেন্ট? এটাও বলা হচ্ছে, শামির আরও একটু সম্মান প্রাপ্য ছিল।
দু’সপ্তাহ পর শুরু রনজি। সামি কি কামব্যাকের লড়াইটা চালিয়ে যাবেন? নাকি ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন? সেটাই এখন দেখার।
