সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপাকে ফেলেছিল জশপ্রীত বুমরাহর পেস ও বাউন্স। তা প্রোটিয়ারাই বা কম যাবেন কেন? তাদের হাতেও তো মার্কো জানসেনের মতো দীর্ঘদেহী পেসার আছে। সিমন হার্মারের মতো স্পিনার আছে। গম্ভীরের 'অর্ডারি' পিচে তাঁদেরকে বিশ্বমানের থেকেও সেরা দেখাল। আর তাতেই 'কাত' ভারতের ব্যাটিং। ইডেনে টেম্বা বাভুমারা থেমেছিলেন ১৫৯ রানে। কেএল রাহুলরা সেটা টপকালেন ঠিকই। কিন্তু লিড মাত্র ৩০ রানের। ১৮৯ রানে শেষ হয়ে গেল কেএল রাহুলদের ইনিংস। কাঁধের চোটে আর ব্যাটই করতে নামেননি শুভমান গিল। জানসেন নিলেন ৩ উইকেট। হার্মারের ঝুলিতে ৪ উইকেট। যা পরিস্থিতি তাতে ইডেন টেস্ট তৃতীয় দিন টপকায় কি না, সেটাই দেখার।
প্রথম দিনেই ব্যাট হাতে নামতে হয়েছিল ভারতকে। দিনের শেষে ১ উইকেটে ৩৭ রান ছিল টিম ইন্ডিয়ার স্কোর। বুমরাহর 'পাঞ্জার' ধাক্কায় বেসামাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনায়াসে টেক্কা দিয়েছিলেন শুভমান গিলরা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে ফিরল প্রথম দিনের ছবিটাই। শুধু দলটা এবার ভারত। শুরুটা ধৈর্য ধরেই করেছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার ওয়াশিংটন সুন্দর ও কেএল রাহুল। কিন্তু প্রোটিয়া পেসারদের প্রাথমিক দাপট সামলে ঠিক যখন মনে হচ্ছিল বড় পার্টনারশিপ গড়বেন তাঁরা, তখনই হার্মারের মারণ ঘূর্ণির শিকার হলেন সুন্দর। প্রথমবার ৩ নম্বরে ব্যাট করতে এসে ৮২ বলে ২৯ করলেন ওই অলরাউন্ডার। ইডেনের ঘূর্ণি পিচে যা একেবারে ফেলনা নয়। তবে ভারত বড় ধাক্কাটি খেল সুন্দর প্যাভিলিয়নে ফেরার পর। ভালো ফর্মে থাকা অধিনায়ক শুভমান গিল নেমে মোটে ৩ বল খেলেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন। পরে আর ব্যাট করতে নামেননি।
কেএল রাহুলের আউটটা সুন্দরের আউটেরই পুনরাবৃত্তি। শুধু ডানহাতি ও বাঁহাতির তফাৎ। আর হার্মারের বদলে কেশব মহারাজ। রাহুল ফিরলেন ৩৯ রানে। তিনিই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। গিলের বদলে ব্যাট করতে নেমে সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্থ অবশ্য স্বমহিমাতেই খেলছিলেন। কিন্তু ইডেনের পিচের মর্জি তিনিও বুঝতে পারেননি। করবিন বশের বলের অতিরিক্ত বাউন্স না বুঝেই ব্যাট চালিয়েছিলেন। ফলস্বরূপ বল উইকেটকিপার কাইল ভেরেনির হাতে। পন্থ আউট হন ২৯ রানে। মধ্যাহ্নভোজন পর্যন্ত ভারতের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৩৮।
লাঞ্চের পর শুধুই যাওয়া-আসা। ধ্রুব জুরেলকে (১৪) আউট করলেন সিমন হার্মার। তারপর ২০ রান উঠল রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের জুটিতে। হার্মারের বলে এলবিডব্লু হলেন জাদেজা (২৭)। ডিআরএস নিয়েও রেহাই পেলেন না। কুলদীপ ও সিরাজ আউট হয়ে যাওয়ার পর চালিয়ে খেলা ছাড়া উপায় ছিল না অক্ষর প্যাটেলের (১৬)। সেটা করতে গিয়ে অক্ষর আউট হতেই ১৮৯ রানে থামল ভারতের ইনিংস।
