সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে পুঁজি ছিল মোটে ১৬৭ রান। আজকের দিনে টি-২০ ক্রিকেটে মোটেই বিরাট কিছু নয়। সেই স্বল্প পুঁজি নিয়েই গোল্ড কোস্টে অনবদ্য বোলিং করলেন ওয়াশিংটন সুন্দর, অর্শদীপ সিং, অক্ষর প্যাটেল, বরুণ চক্রবর্তী, শিবম দুবেরা। যার সুবাদে চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ একপ্রকার অনায়াসেই জিতে নিল ভারত। সূর্যরা জিতলেন ৪৮ রানে। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।
কুইন্সল্যান্ডে ভারতের দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি অজিরা। প্রথম উইকেটের জুটিতে তারা তোলে ৩৭ রান। দ্বিতীয় ইউকেটের পতনের সময় অজিদের স্কোর ছিল ৬৭ রান। সেখান থেকে খেলা পুরো ঘুরিয়ে দেন ভারতের স্পিনাররা। যোগ্য সঙ্গত করেন মিডিয়াম পেসার শিবম দুবেও। আসলে গোল্ড কোস্টের এই পিচের গতি অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য মাঠের তুলনায় কম। বল অনেক সময় ব্যাটে আসতে সমস্যা হচ্ছিল। পিচের এই মন্থরতাকেই কাজে লাগালেন ভারতীয় বোলাররা।
মন্থর পিচে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে উইকেট দিয়ে গেলেন একের পর এক অজি ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয়ে গেল মাত্র ১১৯ রানে। অস্ট্রেলিয়ার শেষ পাঁচ ব্যাটারের কেউ দুই সংখ্যার রানে পৌঁছতে পারেননি। ভারতীয়দের মধ্যে ৩টি উইকেট পেলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দুটি করে উইকেট পেলেন অক্ষর, শিবম। অর্শদীপ, বুমরাহ, বরুণ সকলেই পেলেন একটি করে উইকেট। ভারত জিতল ৪৮ রানে।
কুইন্সল্যান্ডে এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অজিরা। প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া তোলে ১৬৭ রান। প্রথম তিন ম্যাচে একেবারেই ছন্দে পাওয়া যায়নি শুভমান গিলকে। যাতে অসন্তুষ্ট কোচ গম্ভীর চতুর্থ টি-টোয়েন্টির শুরুতে ভারতীয় দলের ভাইস ক্যাপ্টেনকে নিয়ে আলাদা ক্লাসও করান। যার ফল, ৩৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। টি-২০ ক্রিকেটে ১১৭ স্ট্রাইক রেট আহামরি না হলেও এই পিচে গিলের ওই ইনিংসই মহার্ঘ্য প্রমাণিত হল। অন্যদের মধ্যে অভিষেক শর্মা ২১ বলে ২৮, শিবম দুবে ১৮ বলে ২২, সূর্যকুমার যাদব ১০ বলে ২০ করলেন। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল ১১ বলে ২১ রান। তাতেই ১৬৭ রানের সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছায় ভারত। সেই পুঁজি নিয়েই অজি বধ করলেন অক্ষররা।
