সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম তিন ম্যাচে একেবারেই ছন্দে পাওয়া যায়নি শুভমান গিলকে। যাতে অসন্তুষ্ট কোচ গম্ভীর চতুর্থ টি-টোয়েন্টির শুরুতে ভারতীয় দলের ভাইস ক্যাপ্টেনকে নিয়ে আলাদা ক্লাসও করান। যার ফল, ৩৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। খাতায়কলমে ইনিংসের টপ স্কোরার তিনিই। কিন্তু ৩৯টি বল খেলার পর ১১৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করাটাকে আর যা-ই হোক টি-২০ ক্রিকেটে ভালো ইনিংস বলা চলে না।
আসলে গিলের টি-২০ দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্নচিহ্ন ছিল। অনেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরই বক্তব্য, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্সকে টি-২০ দলে ঢোকাতে গিয়ে দলের ব্যালেন্স নষ্ট হয়েছে। যত সময় গিয়েছে সেই প্রশ্নচিহ্ন আরও বড় হয়েছে। এশিয়া কাপ থেকে এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে গিলের পাতে দেওয়ার যোগ্য ইনিংস মোটে একটি। তারপরই আজকের ৪৬। তাছাড়া গোটা অস্ট্রেলিয়া সফরে একটিও হাফ সেঞ্চুরি পাননি তিনি। আসলে গিল ভালো করেই জানতেন আজ রান না পেলে পরের ম্যাচে তাঁকে বাদ পড়তে হতে পারে। বাইরে সঞ্জু স্যামসন-যশস্বী জয়সওয়াল অপেক্ষমান। সম্ভবত সেকারণেই তিনি খানিক ধীর লয়ে কষ্টেশিষ্টে ৪৬ পর্যন্ত গেলেন।
কিন্তু তাতে যেটা হল, ভারতীয় দলের ইনিংস সেভাবে গতিই পেল না। গিলের মন্থর ব্যাটিং সামলে রানের গতি বজায় রাখতে গিয়ে উলটোদিকের ব্যাটাররা আউট হলেন। অভিষেক শর্মা ২১ বলে ২৮, শিবম দুবে ১৮ বলে ২২, সূর্যকুমার যাদব ১০ বলে ২০ করলেন বটে। কিন্তু কেউই বেশিক্ষণ টিকলেন না। আবার গিল আউট হওয়ার পরও কম সময়ে কেউ রানের গতি বাড়াতে পারলেন না। সব মিলিয়ে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৮ উইকেটে ১৬৭ রানে। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল ১১ বলে ২১ রান না করলে সেটাও হত না।
তবে এখানে বলে রাখা দরকার, গোল্ড কোস্টের এই পিচের গতি অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য মাঠের তুলনায় কম। বল অনেক সময় ব্যাটে আসতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে, ভারতের এই রানটা একেবারে ফেলনা নয়। ভারতীয় স্পিনাররা সঠিক পরিকল্পনা করে বল করতে পারলে এই রানেও লড়াই করা সম্ভব। অন্তত অ্যাডাম জাম্পা (৩-৪৫), নাথান এলিসরা (৪-২১) দেখিয়ে দিয়েছেন কম গতিতে ভালো মিশ্রণে বল করতে পারলে সাফল্য আসবে।
