সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুন্দেলখণ্ডের ছত্রপুরের ঘুয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ক্রান্তি গৌড়। ২২ বছর বয়সি বোলার দলকে বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিশ্বজয়ী হওয়ার পর রাজ্য সরকার তাঁকে সম্মানিত করেছে। এমনকী মেয়ের কৃতিত্বে ভাগ্য ফিরতে চলেছে তাঁর বাবারও। কীভাবে?
শুক্রবার ভোপালে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ড. মোহন যাদব সম্মানিত করেছেন ক্রান্তিকে। সেখানেই তাঁর বাবার চাকরি পুনর্বহালের আশ্বাস দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকার। মোহন যাদব বলেন, "আপনার পরিবারের অসুবিধার কথা জানতে পেরেছি। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করার নিয়ম রয়েছে। আমরা নিয়ম অনুসারে আপনার বাবার চাকরি পুনর্বহালের জন্য কাজ করব।" এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে যান ক্রান্তি। উপস্থিত সকলে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়ে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান।
কেন সাসপেন্ড হয়েছিলেন ক্রান্তির বাবা মুন্নালাল গৌড়? পুলিশ কনস্টেবলের কাজ করতেন তিনি। ২০১২ সালে নির্বাচনী দায়িত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ঘটনার জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত হন তিনি। এরপর থেকে ক্রান্তির পরিবার দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। এমনকী নানান সময় সামাজিক উপহাসেরও স্বীকার হতে হয়েছে তাঁদের। আট সদস্যের পরিবারে যাতে কোনও আঁচ না লাগে, তার জন্য বাস কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করেছেন। গ্রামের এই ধুলোমাখা পথ পেরিয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ক্রান্তি। বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় ক্রিকেটের গৌড়ের উত্থানের নেপথ্যে রয়েছেন দেশজ ক্রিকেটের কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামীও। ভারতবর্ষ তো বটেই। গোটা ক্রিকেটবিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা মহিলা পেসার যিনি। ডব্লিউপিএল বা মহিলা আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ঝুলন। টিম মেন্টর এবং বোলিং কোচ হিসেবে। বছর দু’য়েক আগে প্রতিভার করতে গিয়ে তিনি খোঁজ পান ক্রান্তির। মধ্যপ্রদেশের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের (যিনি আবার প্রাক্তন নাইট কোচও বটে) সঙ্গে কথায় কথায় ঝুলন জানতে পেরেছিলেন ক্রান্তির কথা। সেই মেয়েরই বিশ্বজয়ে সম্মান ফিরে পেলেন ক্রান্তির বাবা।
