সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর উপর কি আস্থা হারিয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা? এর উত্তর পাওয়া কঠিন। রনজিতে ইতিমধ্যেই ৯৩ ওভার বল করেছেন মহম্মদ শামি। তিন ম্যাচে ১৫ উইকেটও পেয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলে জায়গা হয়নি তাঁর। এই পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসলেন এক বোর্ডকর্তা। ভারতীয় বোর্ড তাঁকে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার কথা বললেও তা নাকি ফিরিয়ে দেন শামি। অর্থাৎ, দল থেকে বাদ পড়ার সব দায় পেসারের উপরেই চাপিয়ে দিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর এহেন অভিযোগ কি ধোপে টিকবে?
সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনের দাবি, ভারতীয় নির্বাচক কমিটির পক্ষ থেকে বহুবার জানানো হয়েছিল শামিকে। এমনকী মেসেজও করা হয়। বলা হয়, ভারতীয় এ দলের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলার কথা। তাতে নাকি রাজি হননি ভারতীয় পেসার। এবং এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন এক বিসিসিআই কর্তা। তিনি বলেন, "বিসিসিআই সেন্টার অফ এক্সিলেন্সের জাতীয় নির্বাচক এবং সাপোর্ট স্টাফরা একাধিকবার শামির খোঁজ নিতে ফোন করেছেন। জশপ্রীত বুমরাহ তিনটির বেশি টেস্ট খেলতে পারত না। সেই কারণে ইংল্যান্ডে শামির সার্ভিস পেতে নির্বাচক কমিটি মরিয়া ছিল। ইংলিশ কন্ডিশনে ওর মতো একজন বোলার কে না চাইবে?"
কেবল তাই নয়, শামিকে নাকি ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ক্যান্টারবেরি বা নর্দাম্পটনে ভারতীয় 'এ' দলের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা বলা হয়েছিল। টেস্ট খেলার মতো জায়গায় রয়েছেন কি না, সেটা দেখে নেওয়াই লক্ষ্য ছিল ম্যানেজমেন্টের। কিন্তু শামি নাকি জানিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তে ওয়ার্কলোড নেওয়ার জন্য তৈরি নন তিনি। তাই তাঁকে না রেখেই যেন পরিকল্পনা করা হয়। তাছাড়াও ওই বোর্ড কর্তা বলেন, শামি এখন ফিটনেসের দিক থেকে কোন জায়গায় আছেন, সেই রিপোর্টও স্পোর্টস সায়েন্স টিমের কাছে রয়েছে। এখন দেখার এর জবাবে কিছু বলেন কি না শামি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর চোটের কারণে একবছরের বেশি সময় খেলতে পারেননি শামি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল তাঁর। আইপিএলেও খেলছেন। কিন্তু ইংল্যান্ডেও তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। সেই সময় নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর বলেছিলেন, “পুরোপুরি সেরে ওঠেনি শামি। আমরা ভেবেছিলাম ওকে পাব। যদিও সেটা হচ্ছে না। অসাধারণ ক্রিকেটার ও। চাইব, দ্রুত সেরে উঠুক শামি।” তাই এখন ওই বোর্ডকর্তা যতই দল থেকে বাদ পড়ার সব দায় পেসারের উপর চাপিয়ে দিক না কেন, তা হয়তো ধোপে টিকবে না।
