সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিতর্ক ধেয়ে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেটের দিকে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটার খেলা। বিসিসিআই থেকে একপ্রকার 'ফতোয়া' জারি করা হয়েছে এই নিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার মঞ্চে সেই বিষয়েও মুখ খুললেন রোহিত। জানিয়ে দিলেন, ব্যস্ত সূচির জন্যই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারেন না তাঁরা। অর্থাৎ, ঘুরিয়ে বিসিসিআই-কেই নিশানা করলেন তিনি।
এদিন প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরকে পাশে বসিয়েই সোজাসাপটা বক্তব্য রোহিতের। তিনি বলেন, "যদি আপনি ৬-৭ বছরে আমাদের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার দেখেন, তাহলে বুঝবেন ঘরে বসে থাকার সময় পাইনি আমরা। সব সময়ই ক্রিকেট চলেছে। একমাত্র আইপিএল শেষ করার পর কিছুটা সময় থাকে। কিন্তু আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের মরশুম শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাসে, চলে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত। আর ওই সময়ে ভারত প্রচুর ক্রিকেট খেলে।"
দল ঘোষণার মঞ্চেই রোহিত জানিয়ে দেন, তিনি এবার রনজি ট্রফি খেলবেন। মুম্বইয়ের হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে নামবেন তিনি। তবে যেন বোর্ড কর্তাদের এটাও মনে করিয়ে দিলেন, ব্যস্ত সূচির মধ্যে যথেষ্ট সময় পান না বলেই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা হয় না তারকাদের। হিটম্যানের বক্তব্য, "যদি কেউ কোনও নির্দিষ্ট ফরম্যাটে না খেলে সময় পায়, তাহলে তখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে। কিন্তু ২০১৯ থেকে নিয়মিতভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর আমার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হয়েছে। খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না। আর সারা বছর ধারাবাহিকভাবে ক্রিকেট খেলার পর কিছুটা সময় পাওয়া গেলে বিশ্রাম নেওয়াটা দরকার। মনকে শান্ত করা দরকার। যাতে পরের মরশুমের প্রস্তুতি নেওয়া যায়।"
শেষের দিকে অবশ্য রোহিত কিছুটা দুপক্ষের মতে সামালও দিয়েছেন। তিনি বলেন, "এই সমস্যাটা আমরা জানি। আর এটাও বলছি কোনও ক্রিকেটারই ঘরোয়া ক্রিকেটকে হালকাভাবে নেয় না। একটা মরশুম কীভাবে যাচ্ছে, তার শরীরের কতটা বিশ্রাম দরকার, সেসবের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। তবে হ্যাঁ, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা যখন বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে, তখন সময় পেলে খেলা উচিত।"
উল্লেখ্য, বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ব্যর্থতার পরই বোর্ড থেকে ক্রিকেটারদের উপর দশদফা 'ফতোয়া' জারি করা হয়েছে। যদিও প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর একে 'ফতোয়া' বলতে রাজি নন। তাঁর মতে, এটা ভবিষ্যতের জন্য বিসিসিআইয়ের নির্দেশিকা মাত্র।