রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: আইসিইউ'তে রাখা হল ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে। তবে পুরোটাই সতর্কতামূলক এবং পর্যবেক্ষণের কারণে। এমন খবরে চিন্তা বাড়াল ভারতীয় শিবিরে। মাত্র তিন বল খেলেই চোটের জন্য ম্যাচ থেকে আচমকা উঠে যেতে বাধ্য হন শুভমান গিল। দিনের শেষে ইডেন থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে উডল্যান্ডস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সপ্তর্ষি বসুর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে তাঁর। পরিস্থিতি যা, তাতে রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমানের ব্যাট করার সম্ভাবনা নেই। এমনকী গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি ঘোর অনিশ্চিত।
শনিবার বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছিল, ‘শুভমান গিলের ঘাড়ে ব্যথা রয়েছে এবং বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিম তাঁকে পর্যবেক্ষণ করছে। চোটের পরিস্থিতি অনুসারে আজ তাঁর অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ বোর্ড সূত্রে আরও জানা গিয়েছিল, শনিবার সকাল থেকেই ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। এমনকী ব্যথা কমানোর ওষুধও খান। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে সাইমন হার্মারকে সুইপ করার পরেই বিপত্তি বাড়ে। আবারও ব্যথা শুরু হয় টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কের। দ্রুত ফিজিও চলে আসেন। খানিক পর ওই ব্যথা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ঘাড় ঘোরাতে পারছিলেন না গিল। তাঁর মেরুদণ্ডেও সমস্যা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, এমআরআই হয়েছে শুভমনের। এক বছর আগে এমনই চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময়েও এমআরআই হয়। তবে এখন ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। চোট এতটাই গুরুতর যে, ব্যথা সহ্য করতে পারছেন না গিল। তিনি 'নেক স্প্যাজম'-এ ভুগছেন। এই সমস্যায় ঘাড়ের পেশির খিঁচুনি ধরে। তিনি আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের ধারণা, এই ধরনের চোট রাতে ঠিকমতো না ঘুমানোর ফলেও হতে পারে। ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে তিনি এ কথাই বলেছেন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দিনে আর ব্যাটই করতে নামেননি গিল। যে কারণে ভারত একজন কম নিয়ে ব্যাট করে ১৮৯ রান করে। দ্বিতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৩ রানে এগিয়ে আছে। পিচে অসমান বাউন্স ও টার্ন রয়েছে। ফলে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামলে গিলকে প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাঁকে হয়তো পাওয়া যাবে না। হাসপাতাল থেকে তিনি কবে ছাড়া পাবেন, তার উপরই নির্ভর করছে তিনি কবে মাঠে ফিরবেন।
