সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুড়ি বছরের বৈবাহিক সম্পর্কে দাঁড়ি টানতে চলেছেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও আরতি আহলাওয়াত। বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল তাঁরা আলাদা থাকছেন। শিগগির তাঁদের মধ্যে ডিভোর্স হবে। এমনই দাবি সূত্রের। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে বিয়ে হয়েছিল দুজনের।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, শেহওয়াগ ও আরতি পরস্পরে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করেছেন। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের দাবি, আলাদা থাকছেন তাঁরা। এবং সেটাও বেশ কয়েক মাস ধরেই। এবার তাঁরা চান বিচ্ছেদকে পাকাপাকি ডিভোর্সের সিলমোহর দিতে।
তারকা দম্পতির দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। তাদের নাম আর্যবীর ও বেদান্ত। গত দিওয়ালিতে শেহওয়াগকে দুই ছেলেকে নিয়ে উৎসবে মাততে দেখা গিয়েছিল। তিনি যে সব ছবি শেয়ার করেছিলেন সেখানে ছেলেরা ছাড়াও ছিলেন তাঁর মা। কিন্তু আরতিকে দেখা যায়নি। এতে গুঞ্জন আরও বাড়তে শুরু করে। সপ্তাহ দুয়েক আগে শেহওয়াগ বিশ্ব নাগাক্ষি মন্দিরে যান। সেখানেও আরতিকে দেখা যায়নি। তিনি যে সব ছবি শেয়ার করেছিলেন তাতে স্ত্রী অদৃশ্য থাকায় গুঞ্জন আরও জোরালো হতে শুরু করে। যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে এখনও এই বিষয়ে দুজনের কেউই কোনওরকম মন্তব্য করেননি।
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন শেহওয়াগ। তবে এরপরও তাঁকে নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা প্যানেলের সদস্য হওয়া, কোচিং করানো কিংবা ধারাভাষ্য দেওয়া। তবে তিনি ক্রিকেট খেলার সময় বা তার পরও নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সেভাবে সামনে আসতে দেননি। যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রেখে তিনি লোকচক্ষু থেকে দূরেই পারিবারিক জীবন কাটিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী আরতিও বরাবরই লো প্রোফাইল বজায় রেখেছেন। ২০০০ সাল থেকে শেহওয়াগের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি। চারবছর বাদে অরুণ জেটলির বাসভবনে বিয়ে হয় দুজনের। সেই দুই দশকের সম্পর্কে কি এবার ফাটল ধরতে চলেছে? আপাতত তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।