সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ বছর আগে জঙ্গি হামলার কবলে পড়েছিলেন পূর্বসুরিরা। তাই আগে থেকেই পাকিস্তান ছাড়তে চাইছেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। সূত্রের খবর, সিরিজের মাঝপথেই লঙ্কা ব্রিগেডের ৮জন ক্রিকেটার দেশে ফিরতে চেয়েছেন। কারণ পাকিস্তানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। তাই অবিলম্বে সিরিজ বাতিল করে দেশে ফেরার আশায় লঙ্কা ব্রিগেড।
মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামাবাদের একটি আদালতের বাইরে ভায়বহ গাড়ি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। ইতিমধ্যেই সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের মাথাব্যাথার অন্যতম বড় কারণ এই বিদ্রোহী টিটিপি গোষ্ঠী। খাইবার পাখতুনখোয়া, বালুচিস্তান-সহ পাক-আফগান সীমান্ত এই জঙ্গিদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেখান থেকে প্রায়শই পাক সেনাবাহিনীর উপর চলে মারণ হামলা।
ইসলামাবাদে হামলার সময়েই অবশ্য পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে ম্যাচটি চলছিল। রাওয়ালপিন্ডির ওই ম্যাচে জিতে যায় পাক ব্রিগেড। কিন্তু তিন ম্যাচের সিরিজে আর খেলতে চাইছেন না শ্রীলঙ্কার তারকা ক্রিকেটাররা। সূত্রের খবর, রাওয়ালপিন্ডি থেকে ইসলামাবাদের দূরত্ব খুব বেশি নয়, তাই সেখানেও জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কা বোর্ড সম্ভবত এই ৮জনের পরিবর্ত ক্রিকেটার পাঠাবে পাকভূমে। সিরিজ বাতিলের পথে এখনই হাঁটছে না শ্রীলঙ্কা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে লাহোরে জঙ্গি হামলার কবলে পড়ে শ্রীলঙ্কার টিম বাস। আহত হন মাহেলা জয়বর্ধনে, কুমার সঙ্গকারার মতো শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। ঘটনাস্থলে থাকা ৬ পুলিশ আধিকারিক, ২ আমজনতা এবং এক মিনিভ্যান চালকের মৃত্যু হয়। ১৪ বছর পরে আবারও শ্রীলঙ্কার সফর চলাকালীন রক্তাক্ত পাকিস্তান। সেই আতঙ্কে শিউরে উঠছে গোটা দল। প্রশ্ন উঠছে, এর পরেও কি পাকিস্তানে সিরিজ চালিয়ে যাবে শ্রীলঙ্কা?
