শুভায়ণ চক্রবর্তী, ক্যারেরা: ভারতীয় ক্রিকেটের দুই নক্ষত্র রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে ফের কবে মাঠে দেখা যাবে? উত্তর অজানা। কারণ দু'জনে এখন খেলেন শুধু ওয়ানডে ফরমাটে। যে ফরম্যাটে ভারতের পরবর্তী সিরিজ ৩০ নভেম্বর থেকে, ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। সেই সিরিজের আগে রো-কো'কে মাঠে দেখার সম্ভাবনা নেই। কারণ এখনও যা খবর, ঘরোয়া ক্রিকেটে রাজ্য দলের হয়ে খেলা নিয়ে এখনও বিশেষ আগ্রহী নন দুই নক্ষত্র।
তবে প্রবাদপ্রতিম স্টিভ ওয়া মনে করেন, রোহিত-বিরাটের উচিত ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ম্যাচ খেলা। প্রাক্তন বিশ্বজয়ী অধিনায়কের মতে, এর ফলে শুধু যে তাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেদের তৈরি রাখতে পারবেন, তা নয়। তাঁদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে খেলার ফলে উন্নতি হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও। শুধু রো-কো নয়, ভারতের বাকি ক্রিকেট তারকাদেরও একই পরামর্শ দিচ্ছেন অস্ট্রেলীয় তারকা। "ভারতীয় ক্রিকেটারদের উচিত আরও বেশি রনজি ম্যাচ খেলা। শুধু নিজেদের তৈরি রাখার জন্য নয়। তারকারা খেললে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়বে। তাদের সঙ্গে খেললে তরুণরাও উন্নতি করবে", মত স্টিভের, "আমি বলব, তারকাদের দায়িত্ব হওয়া উচিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা। আন্তর্জাতিক ম্যাচ না থাকলে রাজ্য দলের হয়ে খান দুয়েক ম্যাচ খেলা চাপের নয়।"
রোহিত-বিরাট এখন শুধু একটা ফরম্যাটেই খেলেন। তার জন্য তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন স্টিভ। বলছিলেন, "ওদের জন্য পরিস্থিতিটি ভিন্ন। মানসিকতাও বদলাতে হবে। কিন্তু ওরা বাইশ গজে নতুন নয়। সর্বকালের সেরাদের সারিতে থাকবে ওদের নাম। ফলে ওরা জানে কীভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে এবং নিজেদের খেলায় কী কী পরিবর্তন করতে হবে?" অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে একটা সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। টানা দু'বার শূন্য করলেও সিডনিতে তৃতীয় ম্যাচে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি করেছেন বিরাটও। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে স্টিভের বার্তা, "দেখলেন তো সিডনিতে কেমন খেলল ওরা। খেলার গতি নিয়ন্ত্রণ করে ভারতে জেতাল। ফলে ওরা এখনও যথেষ্ট যোগ্য। ফলে প্রশ্নটা হল, ওরা কী এখনও অনুশীলন এবং প্রস্তুতি নিয়ে আগ্রহী? কারণ ম্যাচ খেলা এসবের তুলনায় সহজ কাজ। ফলে প্রস্তুতির খিদে থাকলে ওদের খেলতে সমস্যা হবে না। কিন্তু সকালে উঠে যদি ওদের ট্রেনিংয়ে যাওয়ার ইচ্ছেই না থাকে, তবে ছেড়ে দেওয়াই ভালো।"
এমনিতে কলকাতা শহরের সঙ্গে স্টিভের আত্মিক যোগ রয়েছে। নিজে থেকেই বারবার বলেন সেসব কথা। 'কলকাতায় আমার অনেক স্মৃতি। '৮৭-তে বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। ২০০১-এর সেই বিখ্যাত টেস্ট। আমরা হেরেছি ঠিকই। তবে ক্রিকেটের জন্য ম্যাচটা দারুণ ছিল। তারপর উদয়নের সঙ্গে যুক্ত হলাম। এখনও প্রচুর বন্ধু এই শহরে আমার," শোনালেন স্টিভ।
