রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: নিজেদের পাতা ফাঁদে নিজেরাই ফেঁসে যাবে না তো ভারত! সে আশঙ্কা যে টিম ম্যানেজমেন্টের অন্দরে রয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। ইডেনে বহুপ্রতীক্ষিত টেস্ট ম্যাচের একদিন আগে। প্রথম দিন থেকেই বল টার্ন করবে, প্রোটিয়াদের ঘূর্ণির ফাঁদে ফেলতে ইডেন কিউরেটরের কাছে এমনই আবদার করেছে ভারতীয় দল। কিন্তু সমস্যা হল, তাতে নিজেদের ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনাও পুরোদস্তুর। কারণ সাম্প্রতিক অতীতে স্পিন ভালোমতো ভুগিয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে।
স্পিনারদের মধ্যে জুজু সবচেয়ে বেশি সম্ভবত দেখছেন অধিনায়ক শুভমান গিল। আসলে সাম্প্রতিক অতীতে স্পিনাররা বেশ ভালোরকম সমস্যায় ফেলেছেন ভারত অধিনায়ককে। সেই সমস্যা মেটাতে লক্ষ্মীবারের ইডেনে আলাদা করে সাধনা করতে দেখা গেল ভারত অধিনায়ককে। তত্ত্বাবধানে খোদ গুরু গম্ভীর।
ইডেনে স্পিন মহড়ায় গিল। নিজস্ব চিত্র।
এদিন মূল নেটেও মূলত স্পিনারদের খেলেছেন গিল। পরে দেখা গেল আলাদা করে অক্ষর প্যাটেল এবং রবীন্দ্র জাদেজা এবং একজন বাঁহাতি নেট বোলারকে ডেকে নিয়ে স্পিন মহড়া শুরু করলেন ভারত অধিনায়ক। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন কোচ গম্ভীর। শুভমানের প্রতিটি শটে নজর ছিল তাঁর। কোথাও ভুল হলেই শুধরে দিচ্ছিলেন। কখনও ফুটওয়ার্ক ঠিক করে দিলেন। পুরো ব্যাপারটা চলল প্রায় ৪৫ মিনিট।
ইডেনে স্পিন মহড়ায় গিল। নিজস্ব চিত্র।
কেন? আসলে ভারতের হাতে যেমন জনা চারেক স্পিনার আছেন, তেমন দক্ষিণ আফ্রিকার হাতেও একাধিক এমন স্পিনার আছেন, যারা ভারতীয় ব্যাটারদের ঘুম ওড়াতে পারেন। কেশব মহারাজ-সেনুরুন মুথুস্বামী-সাইমন হারমারের স্পিনার আছে প্রোটিয়া শিবির। সদ্যই যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ ড্র করে এসেছেন। নজরকাড়া পারফরম্যান্সও করেছেন। এঁদের মধ্যে দুজন আবার বাঁহাতি। আর বাঁহাতি স্পিনাররা যে ভারতকে কতটা সমস্যায় ফেলতে পারে সেটা মাস কয়েক আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বোঝা গিয়েছে। একা মিচেল স্যান্টনার কার্যত শেষ করে দিয়েছেন গোটা ভারতীয় ব্যাটিং বিভাগকে। আর শুধু নিউজিল্যান্ড কেন, ইদানিংকালে শ্রীলঙ্কা এমনকী বাংলাদেশ স্পিনাররাও ভারতকে বিপাকে ফেলেছে। সেই আশঙ্কা এখনও তাড়া করছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। বিশেষ করে অধিনায়ক গোলকে।
