সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ সালে ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ইতি টেনেছিলেন সুনীল ছেত্রী। কিন্তু একবছরের মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল করে ভারতীয় দলে ফেরেন তিনি। অক্টোবরের একেবারে শেষে ৪২ বছর বয়সি ফুটবলারের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে বেঙ্গালুরু এফসি। ১৮ নভেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সেই ম্যাচে প্রাথমিক দলে রাখা হয়নি সুনীলকে। তাই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি অবসর নিতে চলেছেন সুনীল? নিজেই খোলসা করেছেন সে কথা। তাছাড়াও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে জানিয়েছেন ক্লাব ফুটবল ছাড়ার দিনক্ষণও।
অবসর ভেঙে ফিরে আসা সুনীলকে খেলানো হলেও এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যাওয়ার আর কোনও সুযোগ নেই ভারতীয় দলের সামনে। তবে খালিদ জামিল ভারতীয় ফুটবল দলের কোচের পদে বসার পর থেকে সুনীলের বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে ফুটবলমহল। এই আবহে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন পর্বে খারাপ ফলাফল করার জন্য অবসরের পথে সুনীল।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "যদি এবারের আইএসএল জিতি, তাহলে হয়তো দেশের জার্সিতে ফের মাঠে নামার সুযোগ পাব। কিন্তু ৪২ বছর বয়সে সেটা মোটেও সহজ কাজ নয়। এই মরশুমে অন্তত ১৫টা গোল করে অবসর নিতে চাই আমি।" উল্লেখ্য, প্রায় একযুগ আগে বেঙ্গালুরু এফসি’তে সই করেছিলেন সুনীল ছেত্রী। অর্থাৎ ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণী ক্লাবটির সঙ্গে নানান সুখ-দুঃখের সাথী তিনি। তবে, মাঝে দু’টো বছর মুম্বই সিটি এফসি’তে খেলেছেন। সেখান থেকে ফের বেঙ্গালুরুতে। তারপর থেকে টানা এই ক্লাবেই খেলছেন আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬৫)।
সুনীলের সংযোজন, "খালিদ স্যরকে আমার সিদ্ধান্তের কথা বলা কঠিন ছিল না। আমি যখন দেশের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন করি, তখন লক্ষ্য ছিল দেশকে এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করানো। যদি কোয়ালিফায়ার না থাকত, তাহলে সম্ভবত আমি ফিরতাম না। এখন কোয়ালিফায়ার নেই, তাই হয়তো আমি আর ফিরব না। যোগ্যতা অর্জনের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার পর মনে হয়েছে, এবার সরে যাওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত। যখন কোচকে এ কথা বলি, তিনি বোঝেন। এতে আমি খুশি।"
আইএসএলে ১৪ গোল করার পর সুনীলকে জাতীয় দলে ফেরার অনুরোধ করেছিলেন তৎকালীন কোচ মানোলো মার্কেজ। এই প্রসঙ্গে সুনীল বলেন, "আইএসএলের ফর্ম দেখেই আমাকে ডেকেছিলেন তিনি। আমিও কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে খেলার জন্য উৎসাহিত হই।" সুনীল হয়তো মনে করছেন, তিনি আর ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ না। ফলে গুরুত্বহীন ম্যাচে জায়গা আটকে রাখার কোনও অর্থ হয় না। তাঁর জায়গায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোনও স্ট্রাইকারকে খেলালেই ভারতীয় ফুটবলের জন্য ভালো।
