সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থামল বাংলার জয়রথ। টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর অবশেষে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে হার মানতে হল মধ্যপ্রদেশের কাছে। স্কোরবোর্ডে ব্যাটাররা বড় রান তুললেও ব্যর্থ হল বোলিং বিভাগ। যে কারণে ভেঙ্কটেশ আইয়ারদের কাছে ৬ উইকেটে হারল বাংলা। সেই সঙ্গে ফের চোটের আতঙ্ক ধাওয়া করল মহম্মদ শামিকে।
সৌরাষ্ট্রের নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি। এর আগে এই মাঠেই মণিপুরকে হারিয়ে এলিট এ গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছিল বাংলা। এদিনও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ওপেনাররা। ৪ ওভারের মধ্যেই ৪০-র গণ্ডি পেরিয়ে যায়। অভিষেক পোড়েল ১৪ বলে ২৫ রান করেন। করণ লাল ৩০ বলে করেন ৪৪ রান। তাঁরা ফিরে যাওয়ার পরও রানের গতি কমেনি। শাকির গান্ধী (৩১), সুদীপ কুমার ঘরামি (২৯) বাংলার ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। পরের দিকে ঝড় তোলেন শাহবাজ আহমেদ। ১৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন বাংলার অলরাউন্ডার। তবে শেষের দিকে ধারাবাহিকভাবে উইকেট না হারালে রান আরও বাড়তে পারত।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলা ১৮৯ রান করে। রান তাড়া করতে নেমে বিন্দুমাত্র চাপে পড়েনি মধ্যপ্রদেশ। শুভ্রাংশু সেনাপতি করেন ৩৩ বলে ৫০ রান। অন্যদিকে ৪০ বলে ৬৮ রান করেন রজত পাতিদার। মূলত দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই ম্যাচের রাশ ক্রমশ আলগা হতে থাকে। বাকি কাজ করে দেন আইপিএল নিলামে ২৩.৭৫ কোটি টাকায় কলকাতা নাইট রাইডার্সে আসা ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ৯ বলে ১২ করেন তিনি। ১১ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন হরপ্রীত সিং ভাটিয়াও। বল হাতে ব্যর্থ মহম্মদ শামি। ৪ ওভারে ৩৮ রান দেন তিনি। কোনও উইকেট পাননি। এর মধ্যেই হঠাৎ আতঙ্ক তৈরি হয় শামিকে নিয়ে। কোমরে হাত দিয়ে আচমকাই বসে পড়েন। কিছুদিন আগেই চোট সারিয়ে ফিরেছেন তিনি। ফলে ফের ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদিও পরে উঠে ফের বল করেন।অন্যদিকে ২টি করে উইকেট তুলেছেন কণিষ্ক শেঠ ও সায়ন ঘোষ। শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকি থাকতে মধ্যপ্রদেশ জেতে ৬ উইকেটে।
এ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে বাংলা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে রাজস্থান। সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মধ্যপ্রদেশ।