রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: গৌতম গম্ভীরকে জাতীয় ক্রিকেট সার্কিটে শুধু শুধু ‘টাস্কমাস্টার’ বলে না। টেস্টের বাইশ গজ। আট নম্বর পর্যন্ত টিমে ব্যাটিং বিকল্প রাখা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর নানা খুঁতখুঁতানি থাকতে পারে। কিন্তু তাঁর সিরিয়াসনেস নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। থাকতে পারে না।
শহরে পা দেওয়ার পর বিগত কয়েকদিন ধরে ভারতীয় টিমের প্র্যাকটিসে দু’দণ্ড বিশ্রাম নিতে দেখা যায়নি গম্ভীরকে। পকেটে হাত দিয়ে উদ্দেশ্যহীন ঘুরতে দেখা যায়নি। সব সময় কিছু না কিছু করছেন তিনি। তা সে টিমের সার্বিক ট্রেনিং ঠায় দাঁড়িয়ে ‘মনিটরিং’ করাই হোক। কিংবা কারও সঙ্গে বসা পড়া। সময় দেওয়া। অবসর সময় শব্দটাই যেন তাঁর অভিধানে নেই!
এবং ইডেনে চলতি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে গৌতম নিছক শুভমান গিলদের কোচিং করাচ্ছেন না! বরং সমান্তরালভাবে, লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে তিনি যুগপৎভাবে পরোক্ষে আরও একখানা কাজে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। তা হল, রাজকোটে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’-র বিরুদ্ধে ভারত ‘এ’-র ক্রিকেটাররা কে কী করছেন, তার খোঁজখবর রাখা! আর সেটা স্রেফ মুখে মুখে ডাক-খোঁজ নেওয়া নয়। ফোন করে জানাটানা নয়। রীতিমতো ফুটেজ জোগাড়ের যাবতীয় বন্দোবস্ত-সহ!
ঠিক কী হয়েছে? শুক্রবার থেকে ইডেনে যে ‘ফ্রিডম সিরিজের’ প্রথম ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট শুরু হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে গতকাল থেকে রাজকোটে আরও এক সিরিজ শুরু হয়েছে। ভারত ‘এ’ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’-র ওয়ানডে সিরিজ। যা চলবে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। যার বাকি আরও দু’টো ম্যাচ। ঘটনা হল, ভারত ‘এ’ দলে সীমিত ওভারের ফরম্যাটে ভারতীয় টিমের কোনও কোনও সদস্য খেলছেন। যেমন তিলক বর্মা। যেমন অভিষেক শর্মা। যেমন হর্ষিত রানা। যেমন নীতীশ কুমার রেড্ডি। যাঁকে ইডেন টেস্টে প্রয়োজন পড়বে না বলে, রাজকোটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শোনা গেল, রাজকোটে সেই সিরিজে ভারত ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা কে কেমন পারফর্ম করছেন, তার ভিডিও ফুটেজ নাকি চেয়ে পাঠিয়েছেন গম্ভীর! শুধু ভারত ‘এ’ টিমেরই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ টিমের ক্রিকেটাররাও কেমন খেলছেন, তার ফুটেজ দেখতে চান তিনি। কেন? আসলে শুধুমাত্র দু’টেস্টের সিরিজেই দেশে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্ব শেষ হচ্ছে না ভারতের। টেস্ট সিরিজ শেষ হলে সীমিত ওভারের সিরিজও রয়েছে। প্রথমে ওয়ানডে, তারপর টি-টোয়েন্টি। তাই গম্ভীর নাকি আগেভাগে সবার কী অবস্থা, দেখে নিতে চান। জেনে রাখতে চান।
