শিলাজিৎ সরকার: ম্যাচ শেষে ইডেনের ড্রেসিংরুম থেকে রওনা হয়েছিলেন ইন্ডোরের দিকে রাখা টিম বাসের উদ্দেশ্যে। একই সময়ে ইডেন ছাড়ছিলেন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সাক্ষাতের পর দু’জনের কথা হল বেশ কিছুক্ষণ। তারপর ইডেনের বাইরে দাঁড়ানো সমর্থককুলের চাহিদা মতো তুললেন সেলফি, দিলেন অটোগ্রাফ। গত বছর মেগা নিলাম থেকে উমরান মালিককে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে চোটের জন্য আইপিএলে সোনালি- বেগুনি জার্সিতে নামা হয়নি জম্মু ও কাশ্মীরের তারকা ফাস্ট বোলারের। এবার তাই কেকেআরের হয়ে নামতে মুখিয়ে তিনি। তার আগে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির গ্রুপ পর্বে রাজ্য দলের হয়ে কলকাতায় খেলে গেলেন উমরান। সোমবার শেষ ম্যাচের পর ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর প্রশ্নের জবাবও দিলেন অকপটে।
প্রশ্ন: ইডেন তো এখন আপনার ঘরের মাঠ। আগের আইপিএলে চোটের জন্য খেলতে পারেননি। এবার রাজ্য দলের হয়ে খেললেন। কেমন লাগল?
উমরান: এখানে খেলে দারুণ অভিজ্ঞতা হল। আমি আগেও ইডেনে ম্যাচ খেলেছি। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। তবে এবার পরপর কয়েকটা ম্যাচ খেললাম। খেলা দেখতে বহু সমর্থক এসেছেন। সবাই অটোগ্রাফ আর সেলফি চাইছেন। সবমিলিয়ে ভালোই লাগল।
প্রশ্ন: আবার আইপিএল আসছে। দেখতে গেলে, তার আগে ইডেনে খেলতে পারায় তো সুবিধে হল।
উমরান: অবশ্যই। কলকাতায় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে পেরে বেশ ভালো হল। এখানে দুপুর আর সন্ধ্যা- দু’টো সময়েই ম্যাচ খেললাম। বল করলাম। ফলে কখন পরিস্থিতি কী থাকে, পরিবেশ কেমন হয় সেগুলো বুঝতে পারলাম। কোন পরিস্থিতিতে কেমন বল করা যেতে পারে, সেই শিক্ষা আইপিএলের সময় কাজে লাগাতে পারব।
প্রশ্ন: শেষ আইপিএলে চোট সারিয়ে শেষদিকে কেকেআর শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। তখনও তো ইডেনের নেটে বল করেছিলেন...
উমরান: নেটে বল করা আর ম্যাচ খেলা এক নয়। দু’টো পরিস্থিতিতে মানসিকতার আকাশ-পাতাল তফাত থাকে। এটা ঠিক যে, ওই সময় কেকেআরে ফেরার ফলে আমার অনেক সুবিধা হয়। রিহ্যাবের পর সেরা পরিবেশটা পেয়েছিলাম ফের বোলিং শুরু করার জন্য। ফলে চেনা ছন্দে ফেরার জন্য আমার বিশেষ সময় লাগেনি। আর চোটের সময় কেকেআর ম্যানেজমেন্ট যেভাবে আমার পাশে ছিল, ভুলতে পারব না।
প্রশ্ন: কেকেআরে নতুন কোচ হয়েছেন অভিষেক নায়ার। কথা হয়েছে?
উমরান: না, না। এখনও আলাদাভাবে কোনও কথা হয়নি। অভিষেকভাই এখন বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আর আমিও এখন শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটে ফোকাস করছি। জম্মু ও কাশ্মীরের হয়ে একটা ভালো মরশুম কাটাতে চাই।
প্রশ্ন: রাজ্য দলের প্রসঙ্গ যখন তুললেন, মুস্তাক আলিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন? জিতেও তো পরের পর্বে যেতে পারলেন না।
উমরান: সত্যিই। শুরুটা ভালো করেছিলাম আমরা। মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশের মতো প্রতিপক্ষকে হারালাম। গ্রুপ রানার্স হওয়া দলের সঙ্গে সমান পয়েন্ট পেলাম। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে পড়তে হল। সেটাই তফাত গড়ে দিল।
প্রশ্ন: মুস্তাক আলিতে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তুষ্ট?
উমরান: আমি গ্রুপে সব ম্যাচ তো খেলিনি। পাঁচটা ম্যাচ খেললাম। ছ’টা উইকেট পেয়েছি। সেটা খুব একটা তৃপ্তির নয় আমার কাছে। তবে চোট সারিয়ে ফের টি-টোয়েন্টি খেললাম। সেটা ইতিবাচক দিক। আশা করছি, আইপিএলে এই ইডেন আমার ঝুলি পূর্ণ করে দেবে।
