রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: ২০১০ সালের পর ভারতের মাটিতে প্রথম জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘটনাচক্রে দেশের মাটিতে শেষ ছয় ম্যাচে চারটিতেই হার মেনেছে টিম ইন্ডিয়া। টার্ন চেয়ে চেয়ে ইডেনে যে পিচটা তৈরি হল, তা ভারতের জন্যই বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। বলা ভালো গৌতম গম্ভীরদের টার্নের দাবিতে যে পিচ বানানোর ‘নির্দেশ’ ছিল, তাতেই বিপদে পড়ল টিম ইন্ডিয়া। তবে ম্যাচ হারের পর ইডেনের পিচকে দোষ দিতে নারাজ ভারতীয় দলের হেডকোচ। তিনি স্বীকার করে নিলেন, তাঁরা এমন পিচই চেয়েছিলেন। তাছাড়াও ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের পাশেও দাঁড়ালেন 'গুরু' গম্ভীর।
ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে গম্ভীর বলেন, "আমরা যেমন পিচ চেয়েছিলাম, তেমনই পেয়েছি। এখানকার কিউরেটর খুবই সাহায্য করেছেন। আমার মনে হয় না যে, উইকেট কঠিন ছিল। এই পিচেই যারা ধৈর্য দেখিয়েছে, তারা রান পেয়েছে। এই ধরনের পিচে ডিফেন্স পোক্ত রাখা জরুরি।" তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অতীতে ঘূর্ণি পিচে এভাবে হারত না ভারত। তাহলে কি স্পিনার বিরুদ্ধে দুর্বলতার কারণেই বর্তমানে এমন পরিণতি? গম্ভীরের কথায়, "দুই জমানাকে কখনওই তুলনা করা উচিত নয়। আমাদের দলে কতজন তরুণ ক্রিকেটার আছে, সেটাও দেখুন। ওরা এখনও ততটাও অভিজ্ঞ নয়।"
গম্ভীরের যুক্তি, "এখানকার পিচে স্পিনারদের থেকে পেসাররা বেশি উইকেট নিয়েছে। তবে উইকেট যেমনই থাকুক না কেন, ১২৪ রান তাড়া করা সম্ভব ছিল। এই ধরনের উইকেটে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন হয়।" উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৩-০ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দু'টো টেস্টে হারিয়েছিল ভারত। এরপর টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পর্যুদস্ত ভারত।
এমন পিচ যে টিম ইন্ডিয়া চেয়েছিল, সে কথা ঘনিষ্ঠমহলে সিএবি প্রেসিডেন্ট বলেছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, "গম্ভীর এখন ভারতীয় টিমের বস। ও যেরকম পিচ চাইবে, টিম যা চাইবে, সেটা তো দিতেই হবে। এখানে আমাদের তো কিছু করার নেই।" এটা ঘটনা, গৌতম গম্ভীর শহরে আসার পর থেকে পিচ নিয়ে নানা দাবিদাওয়া শুরু করে দিয়েছিলেন। গম্ভীর প্রবলভাবে চাইছিলেন, প্রথম দিন থেকে যাতে বল টার্ন করে। এবার সেই টার্নিং পিচেই ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ৯৩ রানেই গুটিয়ে গেলেন ঋষভ পন্থরা। হার্মারের ঘূর্ণির কাছে ৩০ রানে পরাস্ত হল ভারত।
