সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটে ঘোর দুঃসময়। মেহেদি হাসান মিরাজদের ফর্ম এতটাই শোচনীয় যে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে তারা আদৌ সরাসরি সুযোগ পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল। শনিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে-তে ৮১ রানে হারের পর আরও বড় জটিল হল বাংলাদেশের বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার অঙ্ক।
সদ্য আফগানদের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলেও ওয়ানডে-তে ওপার বাংলার টাইগারদের ফর্ম শোচনীয়। আফগানদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে বড় হারের পর শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯১ রানের সহজ টার্গেট পেয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজরা। একটা সময় মনেও হয়েছিল কষ্ট করে হলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতে যেতে পারে। কিন্তু ৫ উইকেটে ৯৯ রান থেকে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ওপার বাংলার টাইগাররা হারে৮১ রানে। রশিদ খান একাই ৫ উইকেট পেয়ে ধসিয়ে দেন বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে সিরিজে অজেয় ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল টাইগাররা।
এই সিরিজ হার বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নকেও বড়সড় ধাক্কা দিল। ২০২৭ সালে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ে এবং নামিবিয়ায়। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবোয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। নামিবিয়ার ওয়ানডে স্টেটাস না থাকায়, তাদের খেলতে হবে বাছাই পর্বে। ফলে দুই আয়োজক দেশের সঙ্গে আইসিসির ক্রমতালিকায় থাকা প্রথম আট দল সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। বাকি ৪ দলকে খেলতে হবে বাছাই পর্বে।
হিসাব বলছ, আইসিসি র্যাংকিংয়ের ১ থেকে ৯ নম্বরে থাকা দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। বর্তমানে এই ক্রমতালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ১০ নম্বরে। বাংলাদেশের উপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের পক্ষে ইংল্যান্ডকে ছোঁয়া সম্ভব না হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সরানোর একটা সুযোগ আছে। কিন্তু আফগানদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে হার, সেই সম্ভাবনাকেও ক্ষীণ করে দিচ্ছে। হাতে আর মাত্র ৪টি ম্যাচ। বাংলাদেশকে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে হলে চারটিই জিততে হবে। তারপর অপেক্ষা করতে হবে অন্য দেশের ফলাফলের জন্য। ভাগ্য সহায় না থাকলে মিরাজ-শান্তদের খেলতে হবে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে। ১৯৯৯ সালের পর এখন পর্যন্ত কখনও এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি বাংলাদেশ।
