সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্ত উপত্যকায় বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাথর নিক্ষেপকারীরা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলেই সেনার দিকে ধেয়ে আসে একের পর এক পাথর। নিক্ষেপকারীদের হাত থেকে রেহাই পান না সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরাও। এই তো সেদিনের ঘটনা। চেন্নাই থেকে বেড়াতে গিয়েছিলেন ২২ বছরের আর থিরুমণি। নারবাল এলাকায় পাথর নিক্ষেপকারীদের হামলার মুখে পড়ে যান তিনি। পাথরের আঘাতে গুরুতর আহত হন পর্যটক। হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার ঠিক আগেই সোপিয়ান জেলায় পাথর হামলার শিকার হতে হয়েছিল স্কুল পড়ুয়াদের। ছোট ছোট শিশুদের স্কুলবাসকে লক্ষ্য করেও এলোপাথারি পাথর ছোড়া হয়েছিল। পাথর নিক্ষেপের এই বেড়ে চলা প্রবণতাকেই কড়া হাতে দমন করতে নয়া কৌশল নিল সেনা। এবার মহিলা কমান্ডোরা মোকাবিলা করবে পাথর নিক্ষেপকারীদের। এক জন্য বিশেষ প্রমিলা বাহিনী গড়ে তুলছে সিআরপিএফ।
[১০ ফুট বরফে মোড়া শেষনাগ, টানা বৃষ্টিতে ‘ভিলেন’ আবহাওয়া]
দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় পাথর নিক্ষেপ করার জন্য মহিলাদের ব্যবহার করা হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই মহিলা কমান্ডোদের তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষভাবে এই প্রমিলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সিআরপিএফ-এর আধিকারিকরা। রাতে উপত্যকার পরিস্থিতির সঙ্গে কেমনভাবে মোকাবিলা করতে হয়? বিপদের সময় কেমন করে এক মিনিটের মধ্যেই নিজের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৈরি থাকতে হয়? মহিলাদের ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রেখে কেমনভাবে পাথর নিক্ষেপকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে? সমস্ত কিছুই শেখানো হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে। এমনকী, চোখ বেঁধেও আশেপাশের পরিস্থিতি আঁচ করার বিশেষ দক্ষতা শেখানো হচ্ছে।
প্রশিক্ষিত হলেই মহিলা কমান্ডোদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঠানো হবে। সেখানে কড়া হাতে অশান্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করবেন প্রমিলা বাহিনীই। বিশেষ করে কোথাও যদি মহিলাদের হাতিয়ার করে বিক্ষোভকারীরা সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করেন, সেখানে সবচেয়ে বেশি কাজে আসবেন এই বীরাঙ্গনারা।
[তিন তালাকের পর ফের কড়া পদক্ষেপ, বন্ধ হতে পারে নিকাহ হালালা ও বহুবিবাহ]