সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢাকার বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) গেটের সামনে মাটিতে আঁকা ভারতীয় পতাকা। সেই তেরঙ্গায় পা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। তার পরই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জাতীয় অহংকারের অবমাননা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এবার গর্জে উঠলেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। কবিতা লিখে বাংলাদেশকে মনে করালেন তাদের স্বাধীনতার পিছনে ভারতের অবদান। প্রশ্ন তুললেন কেন এই হিংসা? সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতিরও আশা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের সময় থেকে ভারতের প্রতি বিদ্বেষ বার বার সামনে এসেছে। সম্প্রতি, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতি অত্যাচার সামনে আসছে। এই অবস্থায় ভারতের পতাকা মারিয়ে যাওয়ার ভিডিও সামনে এসেছে। এই আচরণের বিরুদ্ধে 'পা তুলেছ সেই তেরঙ্গার বুকে?' কবিতা লিখে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেবাংশু।
মুক্তি যুদ্ধের সময় ভারতের সহযোগীতার কথা মনে করিয়ে তিনি লিখেছেন, 'তোমার যখন মরণ-বাঁচণ লড়াই, পাকিস্তানের গুলিতে রক্ত বন্যা। সেদিনকে এক দেশ দাঁড়িয়েছে পাশে।' ইন্দিরা গান্ধীর কথা মনে করিয়ে কবিতায় প্রশ্ন তোলেন, 'পাকিস্তানের বাঙালি নিধন যজ্ঞ, সে না থাকলে কে দাঁড়াত রুখে, ঝাঁঝড়া হত তোমার বাবা-কাকা পা তুলেছ সেই তেরঙ্গার বুকে?' বাংলাদেশে অত্যাচারী হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে লিখেছেন, 'সংখ্যালঘু দেখতে পেলে করছ তাঁকে ধাওয়া, তোমার নেতা সত্যি নাকি শান্তি নোবেল পাওয়া?' ফের পরিস্থিতির বদল ঘটবে বলে আশাবাদী তিনি। শেষে দিয়েছেন সেই বার্তাই।
এই পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্য দেবাংশু প্রথম নন, গর্জে উঠেছে কলকাতার একাধিক হিন্দু সংগঠন। প্রতিবাদ জানাচ্ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কার্যত দেবাংশুর সুরে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নামা তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইউনুসের নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। কোও ধর্মের উপরই আঘাত হানা ঠিক নয়। আমরা শান্তির পক্ষে।" তিনি জানিয়েছেন পড়শি দেশ নিয়ে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে তাদের সর্মথন করবে তৃণমূল।