অর্ণব দাস, বারাকপুর: দুর্গাপুজোয় মেয়েকে নিয়ে মণ্ডপ ঘুরে দেখেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেরেছেন জনসংযোগও। এবার আলোর উৎসবেও তাঁর নির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা জানা গেল। সূত্রের খবর, কালীপুজোর পরদিন নৈহাটির বড়মার মন্দিরে যাবেন অভিষেক। সেখানে বড়মা কালীর দু'ধরনের মূর্তিতেই পুজো দেওয়ার কথা তাঁর। এই দিনেই অভিষেকের হাতে বালেশ্বরী পাথরের ছোট একটি কালীমূর্তি তুলে দিতে চায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহারের জন্য পাঠানো হবে বলে খবর।
এই মূর্তিটি অভিষেকের হাতে তুলে দিতে চায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব ছবি।
আগামী ২০ অক্টোবর কালীপুজো। তার পরেরদিন অর্থাৎ ২১ অক্টোবরে নৈহাটির বিখ্যাত বড়মার মন্দিরে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফর নিয়ে বড় কালীপুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ''উনি ২১ তারিখ আসবেন বলে জানতে পেরেছি। কখন আসবেন, সেই সময় এখনও ঠিক হয়নি। আমরা তাঁকে আপ্যায়ণ করতে সবরকমভাবে প্রস্তুত। আমাদের ইচ্ছা, বড়মায়ের কষ্টি পাথরের একটি মূর্তি তাঁর হাতে তুলে দেব। মূর্তিটি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। তার শুদ্ধিকরণও হয়েছে।''
এর আগে ২০২৩ সালে, বড়মার মন্দিরটি নতুন করে স্থাপনের পর উদ্বোধনের সময় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের বছর ২০২৪ সালে বড়মার মন্দিরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার তাঁকে মন্দির কর্তৃপক্ষ বড় একটি দেবীমূর্তির ছবি উপহার হিসেবে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মমতা জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে এত জায়গা নেই। তাই ছোট একটি মূর্তি তৈরি করে দিতে। সেইমত মন্দির কমিটি শিল্পী শুভেন্দু সরকারকে দিয়ে বালেশ্বরী কালো পাথরের তৈরি করানো হয় বড়মার মূর্তি। তার উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি, চওড়া পাঁচ ইঞ্চি। এই মূর্তির চালচিত্রও তৈরি হয়েছে পাথর দিয়ে। মায়ের গায়ে অলংকার তৈরি করা হয়েছে পাথর খোদাই করে।
আর সেই মূর্তি এবছর অভিষেকের হাত দিয়ে মমতার জন্য পাঠাতে তৎপর মন্দির কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে বড়মার মন্দিরে মহাধূমধামে কালীপুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। এবছর ভিড় সামলাতে সাতদিন আগে থেকে পুজো নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে পুজোর পরদিন অভিষেকের সফর ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হবে।
