shono
Advertisement

বাংলা থেকে মোদির মন্ত্রিসভায় নতুন চার মুখ, কৌশল কি সফল হবে?

বিজেপি যে আক্রমণাত্মক রণকৌশল নিচ্ছে, তার পরিণতি কি দলের পক্ষে যাবে?
Posted: 02:51 PM Jul 10, 2021Updated: 10:00 PM Jul 10, 2021

এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, এবার মন্ত্রিসভায় দু’জন রাষ্ট্রমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে চারজন নতুন মন্ত্রীকে নিয়ে আসা হল- নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার এবং জন বার্লা। তাঁদের কেন নিয়ে আসা হল, কীসের ভিত্তিতে নিয়ে আসা হল, তার বিশ্লেষণও কিছু কম হচ্ছে না। লিখছেন জয়ন্ত ঘোষাল

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেদিন অমিত শাহ-কে বিজেপির সভাপতির পদ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করলেন, ঠিক সেদিন বিজেপি-র এক মাঝারি মাপের গুজরাতি নেতাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এ তো এক অসাধারণ গুরু-শিষ্যের উপাখ্যান! এই গুরু-শিষ্য সম্পর্কটা ঠিক কীরকম বলুন তো? সেই নেতা জবাব দিয়েছিলেন, সম্পর্কটা কেমন জানেন? গুরু যদি বলেন, পঞ্চাশ তলা থেকে নিচে ঝাঁপ দাও, শিষ্য চোখ বন্ধ করে ঝাঁপ দেবেন। গুরুর প্রতি শিষ্যের এতটাই আনুগত্য।

[আরও পড়ুন: জ্বালানি জ্বালায় জর্জরিত জনতা, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদাসীন কেন কেন্দ্রীয় সরকার?]

সাংবাদিক হিসাবে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) অনেক বছর ধরে দেখছি। গুরু-ও কিন্তু প্রথম থেকেই তাঁর শিষ্যকে যথেষ্ট রাজনৈতিক পরিসর দিতে প্রস্তুত ছিলেন। মোদি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন দেখেছি, হরেন পাণ্ডিয়ার মৃত্যুর পর সেই শূন্যতা ভরাট করলেন অমিত শাহ। এই মুহূর্তে দেশের মানুষের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, মোদি-শাহ-র জুটিই আসলে দেশ চালাচ্ছে। এবার মন্ত্রিসভার রদবদলে তাই অমিত শাহ-র ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন, ২০১৯ সালে আবার তিনি প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯-এ অমিত শাহ যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, আজ তার গুরুত্ব কয়েকশো গুণ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি, সচেতনভাবেই অমিত শাহ-কে একটা রাজনৈতিক উত্তরাধিকার দিচ্ছেন। রাজনাথ সিং আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নম্বর টু’ হলেও আসল ‘নম্বর টু’ অমিত শাহ।

এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, এবার মন্ত্রিসভায় দু’জন রাষ্ট্রমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে চারজন নতুন মন্ত্রীকে নিয়ে আসা হল- নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার এবং জন বার্লা। তাঁদের কেন নিয়ে আসা হল, কীসের ভিত্তিতে নিয়ে আসা হল, তার বিশ্লেষণও কিছু কম হচ্ছে না। অনেকে এভাবে দেখছেন- উত্তরবঙ্গ থেকে দু’জন মন্ত্রী, তার মধ্যে একজন রাজবংশী, নিশীথ প্রামাণিক; আর দক্ষিণবঙ্গ থেকে দু’জন মন্ত্রী, তার মধ্যে একজন মতুয়া, শান্তনু ঠাকুর। জলপাইগুড়ি থেকে জন বার্লা-কে মন্ত্রী করা হয়েছে। মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেও তিনি কিন্তু জলপাইগুড়ির পৃথক স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়েছেন। তার মানে এটা খুব পরিষ্কার, রাজ্য বিভাজনের যে রণকৌশল, তার নেপথ্যে সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় মদত আছে। যদিও দিলীপ ঘোষ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন। একটা সময় দার্জিলিং নিয়ে রাজীব গান্ধী এবং বুটা সিং সুবাস ঘিসিংকে ব্যবহার করে জ্যোতিবাবুর বিরুদ্ধে রাজনীতি করার চেষ্টা করতে গিয়ে হাত পুড়িয়েছিলেন। আবার যদি সেই চেষ্টা করা হয়, তাহলে তা কার পক্ষে যাবে- বিচার্য বিষয়।

আসুন, আপনাদের চার মন্ত্রীর গল্প শোনাই। এই চার মন্ত্রীকে কেন মনোনীত করা হল? প্রথমত, এঁরা কেউ ক্যাবিনেট মন্ত্রী নন। এঁরা কেউই আগে মন্ত্রী ছিলেন না। ক্যাবিনেট মন্ত্রী যেভাবে নীতি-নির্ধারণে ভূমিকা পালন করতে পারেন, কোনও রাষ্ট্রমন্ত্রী তা করতে পারেন না। মনমোহন সিংয়ের সময়ে চারজন রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছিল। সেই সময়ও দেখা গিয়েছিল, রাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তেমন ক্ষমতা থাকে না। নরেন্দ্র মোদি কিন্তু রাষ্ট্রমন্ত্রীদের হাতে আগের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষমতা দিয়েছেন। তাহলেও রাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটা সীমাবদ্ধতা থাকে।

এই চারজন মন্ত্রীকে মূলত বাছাই করেছেন অমিত শাহ (Amit Shah) নিজে। নিশীথ প্রামাণিককে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা, অমিত শাহ তাঁর দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী যাঁকে করবেন- তিনি তাঁর নিজের পছন্দের এবং অনুগত না হলে, কাছের না হলে, বিশ্বাসভাজন না হলে কখনওই বেছে নেবেন কি? অর্থাৎ, এই চারজনকে মন্ত্রী করা হয়েছে মূলত ‘মিশন বেঙ্গল’-এর প্রেক্ষিতে। লক্ষ করছি, এখনও যে কোনও বাংলা চ্যানেল খুললে মনে হয়, যেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়নি। এখনও বোধহয় আরও কয়েকটি পর্যায়ের ভোট বাকি আছে। এমনই তুলকালাম কাণ্ড চলছে! বিজেপি দলকে সবসময় সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে, যাতে কর্মীদের মধ্যে হতাশা না আসে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জিতেছেন। তবু বিজেপি-ই যেন ক্ষমতায় এসেছে! মমতা যে ২০০-রও বেশি আসন দখল করলেন, তা যেন আসলে ঘটেইনি! ২০১৯ সালের যে ফলাফল, ২০২৪-এর লোকসভা ফলাফলে তার পুনরাবৃত্তি চান মোদি-অমিত শাহ। ২০২১-এর যে ফল, তার ঝড়ে যেন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আবার বাঘ থেকে মূষিক না হয়ে যায়- এটাই হচ্ছে আপাতত ‘মিশন বেঙ্গল’-এর সবথেকে বড় অগ্রাধিকার।

আরও একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল যে, দিলীপ ঘোষ নন, এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহ-র সবচেয়ে পছন্দের প্রার্থী। রাজনীতির বিচারে তাঁর বয়স যথেষ্ট কম। কিন্তু তিনি তৃণমূলের ব্যাকরণ জানেন এবং তৃণমূল থেকেই উঠে এসেছেন। আর যেভাবেই হোক, তিনি অন্তত এই প্রচারের আলোয় এসেছেন যে, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০০০ ভোটে হলেও পরাস্ত করেছেন। এই উপাদানগুলোকে মূলধন করে শুভেন্দু অধিকারীকে সামনে রেখে বিজেপি এগতে চাইছে।

দিলীপ ঘোষ এবার মন্ত্রিসভার রদবদলে যে শুধুমাত্র জায়গা পাননি, তা নয়, রদবদলে কী হচ্ছে না হচ্ছে- সেই বিষয়ে ওঁর সঙ্গে কোনও আলাপ-আলোচনাও করা হয়নি। শুভেন্দু অধিকারীর এই উত্থানে, বিজেপির অন্যান্য অনেক সংসদ-সদস্য, অনেক বিধায়ক, অনেক নেতা এবং আরএসএসের পুরনো লোকেরা স্বভাবত ক্ষুব্ধ। তবে মোদি-অমিত শাহ যা চাইবেন, সেটাই এখনও বিজেপির মধ্যে শেষ কথা। তাই এই ক্ষোভ-বিক্ষোভে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের খুব একটা আসে-যায় না। কিন্তু এটা দেখতে হবে, এর ফলে বিজেপির মধ্যে কোনও ভাঙন হয় কি না? ক্ষুব্ধ অনেকেই তৃণমূলে চলে আসতে চাইছেন। তার কোনও কু-প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে পড়বে কি না, সেটাও দেখার।

এখন এই চারজন মন্ত্রী কী করবেন? এই চারজন মন্ত্রী যে পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি করে ফাটিয়ে দেবেন, এমনটা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই চারজন মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় লালবাতি লাগিয়ে, সাইরেন বাজিয়ে রাজনৈতিক দাপট প্রদর্শন করবেন। আর প্রতিনিয়ত নানারকমভাবে বিবৃতি দিয়ে মমতার সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করবেন। অতীতে যখন সিপিএম ক্ষমতায় ছিল, তখন এই জিনিসটা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি এবং অজিত পাঁজা রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু সেই চেষ্টায় তেমন সফলতা তাঁরা পেয়েছিলেন, তা বলা যায় না। সন্তোষমোহন দেব ত্রিপুরায় গিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়ে সিপিএম-কে হটিয়েছিলেন। তখন তিনি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। রাজীব গান্ধী তাঁকে কখনও কমিউনিকেশন, কখনও স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষার মতো দপ্তরেরও রাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন। সংঘাতের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে চেষ্টা করেছিলেন সন্তোষমোহনবাবু। কিছুটা সাফল্যও অর্জন করেছিলেন। এখন বিজেপির রণকৌশলও কিন্তু তাই।

বাবুল সুপ্রিয় জনপ্রিয় গায়ক হতে পারেন। তাঁর রাজনৈতিক ডিএনএ অমিত শাহ-র সঙ্গে মেলে না। মন্ত্রী হিসাবে তিনি যথাসাধ্য করেছেন, কিন্তু এই মুহূর্তে যে ধরনের রাজনৈতিক কলা-কৈবল্য প্রয়োজন, তা বাবুল সুপ্রিয়র চেয়ে অনেক বেশি শান্তনু ঠাকুর বা নিশীথ প্রামাণিককে দিয়ে সম্ভব বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং মমতার সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ হানছে। অনেক অভিযোগ অতীতেও ছিল, এখনও আছে। এই ধরনের রাজনৈতিক নেতারা যদি কিঞ্চিৎ বাহুবলীও হন, তাহলেও কিন্তু তাঁরা হালফিলের রাজনীতিতে অনেক বেশি গুরুত্ব পান। এক্ষেত্রে সেই সূত্রটাও কিন্তু প্রয়োগ করা হল।

অবশ্য কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার রাজনীতিতে এঁরা কতটা সফল হবেন- সেটা দেখার বিষয়। তার কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনেও নানা দিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখনও, কখনও সিবিআইয়ের সারদা তদন্ত, কখনও এনফোর্সমেন্টের কয়লা তদন্ত, কখনও নির্বাচন কমিশনের নোটিস এই মর্মে যে, রাজ্যসভায় দুটো আসন খালি আছে, কেন তাড়াতাড়ি নির্বাচন করছ না- চলছেই।

আবার, সেই নির্বাচন কমিশন! উপনির্বাচনের জন্য মমতা চাপ দিলেও করোনার কারণে তা এখনই সংঘটিত করতে প্রস্তুত নয় কমিশন। রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচনের জন্য বিধায়কদের ভোটটা অল্পসংখ্যক মানুষের ভোট, তাই করোনার বিপর্যয়ে সেটা হতে সমস্যা নেই। উপনির্বাচন এখন নাকি করা যাবে না, কেননা, করোনা-আক্রান্ত সময়ে মানুষের ভোট দিতে অসুবিধা হতে পারে। এই ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব মনে করে যে, ‘দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না। কমিশন ভোট করতে দিতে চাইছে না। কারণ, এই মুহূর্তে ভোট হলে তৃণমূল অনেক বেশি ভাল ফল করবে।’

একইভাবে বিধান পরিষদ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় কর্মসূচির বিরোধিতা করা বিজেপির কৌশল। প্রতিদিন বিধানসভায় কিছু না কিছুর বিরোধিতা করার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে ‘নৈবেদ্যর নাড়ু’ হিসাবে রাজ্যপাল তো আছেনই। যেমন, সব রাজ্যপাল বদল হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি জানানো সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে কিন্তু বদল করা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন, তা শোনা হবে না, এবং তার বিরোধিতা করা হবে- এমন একটা ধারণা বঙ্গ-রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে। তাতে আমলারা ভয় পান, ব্যবসায়ীরা ভয় পান এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারণা হয় যে- আজ নয় তো কাল হয়তো বিজেপি আসতে পারে। বিজেপি যে হতাশাগ্রস্ত, বিজেপি যে হেরে গিয়েছে- এই মানসিকতাটা যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয়, সেটাই মোদি-অমিত শাহ-র রণকৌশল।

তবে শেষকথা বলবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ! আর বলবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বশেষ রণকৌশল। বিধানসভা নির্বাচনেও মমতাকে ‘আন্ডারএস্টিমেট’ করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কী চাইছেন? শুধুমাত্র মুসলিম ভোটে মমতা জিতেছেন-পশ্চিমবঙ্গের বাইরে, উত্তরপ্রদেশের হিন্দি বলয়ে গিয়ে বিজেপি যতই এই প্রচার করুক না কেন, মোহন ভাগবত পর্যন্ত বলেছেন, শুধুমাত্র মুসলমান ভোটে মমতা জেতেননি। এই বিপুল জয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটা বড় অংশের মানুষ শামিল হয়েছেন। এখনও বিজেপি যে আক্রমণাত্মক রণকৌশল নিচ্ছে, তার পরিণতি বিজেপির পক্ষে যাবে, না কি আরও বেশি করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ‘বাংলার মেয়েকে অপদস্থ করা হচ্ছে’- এই বার্তা পৌঁছবে, সেটাই দেখার।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক কৌশলগতভাবে বিজেপির চতুর রাজনীতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement