shono
Advertisement

বিজয়ার সেকাল এবং বিজয়ার একাল

কালের নিয়মে প্রীতি আর শুভেচ্ছার পরিবর্তনের গাথা৷ The post বিজয়ার সেকাল এবং বিজয়ার একাল appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:21 PM Oct 11, 2016Updated: 04:49 PM Oct 11, 2016

আগে বিজয়ার মজা ছিল রকমারি মিষ্টি তৈরি করার মধ্যে৷ নাড়ু, সন্দেশের কত ধরন, কী স্বাদ! এখন তো বেশির ভাগ বাড়িতেই বাজার থেকে তৈরি অবস্থায় প্যাকেটবন্দি নাড়ু ও নিমকি আসে৷ আর পোস্টকার্ডে প্রিয়জনদের শুভেচ্ছাবার্তা প্রেরণ করাও রূপকথা-সদৃশ! অঞ্জন বসু

Advertisement

আজ শুভ বিজয়া৷ বাঙালি হিন্দু সমাজে এটি এমনই একটি দিন, যেদিন শত্রু-মিত্র ভেদাভেদ রাখা মানা৷ সারা বছরের সব তিক্ততা ভুলে এদিন শুধু পরস্পরকে আলিঙ্গন, আর মিষ্টান্নে আপ্যায়ন৷ এই দিনটি এলে মনে হয়, সারা বছর যদি এমন বিজয়া হত, তবে সমাজে এত হিংসা, এত হানাহানি, দৈনন্দিন জীবনে এত মালিন্য, সবই আমরা ভুলে থাকতে পারতাম৷ দ্বন্দ্বমুখর মানবজীবন হয়তো শান্তির সাগরে ভেসে থাকতে পারত৷ কিন্তু তা তো আর হওয়ার নয়! তাই একটি দিনকেও যদি সবরকম কলুষতা থেকে মুক্ত রেখে কিঞ্চিৎ মুক্তির শ্বাস ফেলা যায় তাও-বা মন্দ কী! প্রীতি আর শুভেচ্ছায় ভরা থাক এই বিজয়ার দিনটি৷

সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে জীবনের অনেক কিছুর মতো এই বিজয়ার দিনটিও যেন বদলে গিয়েছে৷ ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ট্যুইটার-এসএমএসের যুগে দাঁড়িয়ে চার-পাঁচ দশক আগের বিজয়ার দিনের কথা ভাবা সত্যিই দুষ্কর৷ সে-যুগে শুভ বিজয়া মানেই ছিল পাড়া-পড়শির জন্য নাড়ু, নিমকি, আর দূরের আত্মীয়-বন্ধুদের জন্য পোস্ট কার্ড-ইনল্যান্ড৷ প্যাকেট বন্দি নাড়ু-নিমকি তবু পয়সা ফেলে দোকান থেকে কিনে আনা যায়৷ কিন্তু পোস্টকার্ড-ইনল্যান্ডে বিজয়ার চিঠি, এ যুগের ছেলেমেয়েরা সেসব কথা বোধহয় জানেই না৷ বলতে গেলে ভাবে গল্পকথা৷

যদিও সেসব কিন্তু খুব একটা বেশি দিনের কথা নয়! বিজয়া আর বাংলা নববর্ষে বাড়িতে বেশ কিছু পোস্টকার্ড আর ইনল্যান্ড আসত ডাকঘর থেকে৷ তারপর সবাই মিলে লেখা চলত চিঠি৷ কাউকে প্রণাম, কাউকে শুভেচ্ছা, আবার কাউকে স্নেহাশীর্বাদ৷ কে ক’টা বিজয়ার চিঠি লিখল, আর কার নামে বা কার কাছে ক’টা চিঠি এল, তা নিয়ে তখন চলত বিস্তর আলোচনা৷ বিজয়া আর নববর্ষের পর ডাকঘরের পিয়নদের আনাগোনাও তাই বাড়ত অনেক৷ ঠিকমতো যাতে চিঠিটিঠি বাড়িতে আসে৷ তাই তাঁদের আগাম বকশিশও দিয়ে রাখা হত অনেক বাড়ি থেকে৷ এখন আর সেই চিঠির বন্যা নেই, পোস্টম্যান, পিয়নের ব্যস্ততা নেই, বোধহয় নেই আর তাঁদের প্রাপ্য বকশিশও৷ সবই যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে৷

এ যুগের ছেলেমেয়েরা বোধহয় ভুলে গিয়েছে চিঠি লেখাও৷ একদা প্রায়-শৈশবে অথবা বড়জোর বাল্যে চিঠি লেখায় হাতেখড়ি হত এই বিজয়ার দিনে৷ বাবা-কাকা-জ্যাঠামশাইদের কড়া তত্ত্বাবধানে৷ ভুল বানানের জন্য মাথায় গাট্টাও যে মাঝেসাঝে খেতে হত না, তা-ও নয়৷ তবু এভাবেই চিঠি লেখা শেখা হয়ে যেত৷ তারপর অনেকেরই তো প্রতিভার বিকাশ ঘটত নানাভাবে৷ বিজয়ার চিঠি থেকে ভালবাসার চিঠি–ব্যবধান তো মাত্র কয়েকটা বছরের৷ কৈশোর উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই অথবা বড়জোর কৈশোর-যৌবনের সন্ধিক্ষণে চিঠি লেখালিখি নিয়ে ঘটে যেত কত ঘটনা৷

গত দেড় দশক কি দুই দশকে ধাপে-ধাপে একটু-একটু করে সব কিছুই কেমন যেন অন্যরকম হয়ে গেল৷ হারিয়ে যেতে লাগল কাগজ-কলম-কালি৷ কম্পিউটার-ল্যাপটপ, আর নানা প্রজাতির মোবাইলই এ যুগের ছেলেমেয়েদের ভাবপ্রকাশের মাধ্যম৷ বিজয়া-নববর্ষ থেকে প্রেম-ভালবাসা, সবই এখন এক আঙুলের টরেটক্কা৷ ঘরের কোনায় চেয়ার-টেবিলে গুছিয়ে বসে, অথবা মেঝেতে উবু হয়ে বসে কালি-কলমে হাত মকশো করার আর কোনও প্রয়োজনই আজ নেই৷ পথে চলতে-ফিরতে, ট্রামে-বাসে-ট্রেনে চাপাচাপি ভিড়ে বসে বা দাঁড়িয়েও দিব্যি বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া যায় উদ্দিষ্ট লক্ষ্যে৷ সত্যিই কত্তো সুবিধা এখন৷

তবু অতীতের সেই চিঠি লেখার মজা কি আর আছে এখন? জানা নেই, কে যে কীসে মজা পায়! সেইরকমই, দোকানের প্যাকেট-বন্দি নাড়ুতে কি আর মা-পিসিমা-মাসিমার হাতের নাড়ুর সেই স্বাদ পাওয়া যায়? ওঁদের হৃদয়ের আর মনের স্নেহ-ভালবাসার উত্তাপ যে নাড়ু-সন্দেশের মিষ্টতা বাড়িয়ে দিত অনেক৷ নারকেল কোরানো, গুড় বা চিনি উনুনের আঁচে গলিয়ে তাতে সেই নারকেল ঢেলে পাক দেওয়া৷ আর তারপর সেই হাতে গরম খণ্ডটিকে হয় গোল্লা পাকিয়ে নাড়ু বানানো অথবা হরেকরকম কাঠের বা পাথরের ছাঁচে ফেলে চাপ দিয়ে দিয়ে সন্দেশ বানানো– সে এক মহাপর্ব বসে যেত রান্নাঘরে৷ কোনওটা ফুলের মতো সন্দেশ, কোনওটা আমের মতো, কোনওটা তালশাঁসের মতো, এক থালায় যে কতরকম সন্দেশ সাজিয়ে রাখা হত, তার শেষ নেই৷ বিজয়া থেকে লক্ষ্মীপুজো, এক-এক বাড়ির রান্নাঘর যেন হেলায় হার মানাত বড়-বড় মিষ্টির দোকানকেও৷

নারকেলের নাড়ু বা সন্দেশের পাশে নিমকি বানানোও ছিল আর-এক পর্ব৷ ময়দা মাখা, তাতে একটু হালকা নুনের ছিটে, কোথাও একটু কালোজিরে, তারপর কাঠের থালা বারকোশে ফেলে কোনাকুনি করে ছুরি দিয়ে কেটে নিমকির আকার দিয়ে ঘিয়ে ভেজে তোলা–গন্ধে তখন যেন ম-ম করত চারদিক৷ এখনকার সাদা তেলে আর সেই মনমাতানো গন্ধ কোথায়! নিমকিও তো এখন প্যাকেটে করে দোকান থেকে ঘরে আসে৷ এত কষ্ট করে নিমকি ভাজার সময়ই-বা কার আছে এখন? ফাস্ট ফুডের এই যুগে এত লম্বা প্রক্রিয়া আজ অচল–তা সে নারকেলের নাড়ু-সন্দেশ হোক, অথবা নিমকি৷

বিজয়ার স্বাদটাই তাই বদলে গিয়েছে অনেক৷ বাড়ি-বাড়ি ঘুরে বিজয়া করার চলই-বা আজ কোথায়! বিজয়ার সেই সব খাওয়া তো কবেই বিদায় নিয়েছে, কোলাকুলি ব্যাপারটাও বোধহয় এখন উঠি-উঠি করছে৷ এখনকার অনেকের কাছেই ব্যাপারটা বড্ড সেকেলে৷ বড়জোর হাতজোড় করে নমস্কারেই শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময়৷ অবশ্য যদি কোথাও দেখা-সাক্ষাৎ হয়৷ নইলে শুরুতে যা বলছিলাম–এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকেই কাজ সারা৷ ঝক্কি-ঝঞ্ঝাট অনেক কম৷ খরচ কম তো বটেই৷ সময়েরও অনেক সাশ্রয়৷

বিজয়ায় গুরুজনদের পা ছুঁয়ে প্রণামের রীতিটাও এখন অনেকের কাছে ব্যাকডেটেড৷ পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে যাঁরা বয়ঃজ্যেষ্ঠ তাঁদের পা ছুঁয়ে প্রণামের রীতি তো কবেই উঠে গিয়েছে৷ বাবা-মা, নিজের পরিবারের বড়রা বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ক্ষেত্রেও নিতান্ত বাধ্য হয়ে প্রণাম করতে হলে খুব বেশি মাথানত করার প্রয়োজন হয় না৷ গুরুজনের পায়ের পাতা নয়, হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত হাতটা একটু নিয়ে নিজের কপালের দিকে একবার তুললেই কর্তব্য শেষ৷ ‘পায়ের ধুলো মাথায়’ নেওয়ার ব্যাপারটা মোটামুটি উঠে গিয়েছে অনেক দিন৷ সর্বক্ষেত্রেই এখন শর্টকাট প্রসেস৷ গুরুজনরাও এখন তাই আর সাবেক রীতিতে প্রণাম আশা করেন না৷ ছোটরা মাথাটা একটু নিচু করতেই ‘থাক থাক বাবা…’ বলে নিজেকেই সরিয়ে নেন–ডান হাতটা একটু তুলে আশীর্বাদের ভঙ্গিতে৷ মনে হয়, এই প্রণাম ব্যাপারটাও যত দিন গড়াবে আস্তে-আস্তে হয়তো উঠেই যাবে৷ দু’-চার দশক বাদে তখনকার প্রজন্ম জানবেই না যে, ‘গুরুজনদের প্রণাম’ নামক রীতি ও আচারটা কেমন ছিল৷

অবশ্য এটাই বোধহয় সমাজের স্বাভাবিক গতি৷ এই বিশ্বায়নের যুগে কোনও সমাজ বা কোনও ধর্মের পক্ষেই তাদের সাবেক সমস্ত রীতি, সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে ধরে রাখা আর সম্ভব নয়৷ সব কিছুতেই একটা মিশ্রণ ঘটে চলেছে–পুরনো প্রথাকে বিসর্জন দিয়ে নতুন রীতির প্রচলন৷ কোনও কিছুকেই আর আঁকড়ে ধরে রাখা সম্ভব নয়৷ চারপাশের জানালা-দরজাগুলো এখন এমনই হাট করে খুলে গিয়েছে যে, বাইরে থেকে আসা দমকা হাওয়াকে আটকে রাখা যাবে না৷ পোশাকআশাক থেকে খাওয়াদাওয়া–সর্বক্ষেত্রে আমাদের রুচির এমনই বদল হয়ে গিয়েছে যে, পুরনো কিছুতে ফিরে গেলে মনে হয় একটা কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটিয়ে দেওয়া হল৷

বাড়ির মেয়ে শাড়ি পরলে যেমন সবাই এখন অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে–বাহ, তোকে কী সুন্দর দেখতে লাগছে রে! অথচ তিন-চার দশক আগেও স্কুল ছাড়ার পর শাড়িটাও ছিল আমাদের বাঙালি ঘরের মেয়েদের স্বাভাবিক পোশাক৷ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন সালোয়ার-কামিজও বোধহয় হাতে গোনা যেত৷ আর জিনস-টপ? সে তো তখনও আসেইনি৷ আর আজ এটাই যেন স্বাভাবিক পোশাক, শাড়িটা ব্যতিক্রম৷

প্রতিমার গড়নও কত বদলে গেল গত অর্ধ শতকে৷ বাড়ির পুজোর বাইরে একচালা প্রতিমা আর ক’টা? একটা সময়ে রমেশ পালরা যখন বড়-বড় পুজোর প্রতিমা গড়তেন, তখন সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখত৷ আহা, কী অপূর্ব! আর আজ থিম পুজোর নতুন-নতুন আঙ্গিকের প্রতিমা লক্ষ-লক্ষ মানুষকে টেনে আনছে মণ্ডপে৷ আর্ট কলেজের পাশ-করা নামী শিল্পীদের দামি প্রতিমার দাপটে পিছিয়ে পড়ছে কুমোরটুলির পাল বংশের সাবেক শিল্পকলা৷ কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ, বিচার করা সত্যিই কঠিন৷ সময়ের উত্তাল ঢেউ খুব দ্রুত পিছনে ফেলে দিচ্ছে অনেক কিছুই৷ আমাদের চোখের সামনে উঠে আসছে আরও নতুন৷ এই নতুনত্বের কোনও সীমা নেই৷ তার শেষ কথা বলেও কিছু নেই৷

তবে চারদিনের পুজো শেষে বিজয়ার দিন প্রতিমা বিসর্জন নিয়েও অতীতে যে উৎসবের মেজাজ দেখা যেত, তা যেন এখন অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে৷ সব ঠাকুর আর একই দিনে ভাসান হয় না বলে৷ আগে পুজোর চারদিন মানুষ মণ্ডপে-মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখত, আর বিসর্জনের দিন হাজার-হাজার মানুষ প্রায় সারা রাত ধরে প্রতিমার যাত্রাপথে অপেক্ষা করত শেষ দেখাটি একবার দেখার জন্য৷ আলোর-পর-আলো, ঢাকের বাদ্যির সঙ্গে নানা সাজের নানা মেজাজের ব্যান্ড পার্টির দল৷ একসঙ্গে একরাতে এত প্রতিমার মিছিল, এত আলোর মিছিল, এত বাজনার মিছিল–সব মিলিয়ে সারা রাত ধরে বয়ে যেত এক অন্যরকম উন্মাদনা৷

এই রাত শেষে আবার তো একটা বছরের অপেক্ষা আর দিন গোনা৷ রাত শেষ হয়ে সকাল হতেই তো বিজয়ার পালা৷ বিজয়ার পরও এখন বাসি প্রতিমা থাকে মণ্ডপে আরও কয়েক দিন৷ কোথাও-কোথাও লক্ষ্মীপুজো পর্যন্তও মণ্ডপে প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়৷ যেদিন ভাসান হয়, সেদিন সকলেই সাধ্যমতো আলো আর ব্যান্ডপার্টি নিয়ে শোভাযাত্রা করে বটে, কিন্তু একই রাতে সমস্ত প্রতিমার বর্ণাঢ্য মিছিলে যে-উন্মাদনা সৃষ্টি হত, বিচ্ছিন্নভাবে এক-একদিন এক-একটি ভাসানে তা আর সম্ভব নয়৷ মানুষেরই-বা কত সময় রয়েছে যে প্রত্যেক সন্ধ্যায় রাস্তায় নেমে বিসর্জনের মিছিল দেখবে?  ফলে সেই আনন্দটাই হারিয়ে গিয়েছে৷

বিসর্জনের শোভাযাত্রার পথে বিজয়ার রাতে যে-মেলা বসে যেত,  তা-ও হারিয়ে গিয়েছে অনেকটা৷ এখন তো বিজয়ার দিন বাড়ির পুজোর প্রতিমা ছাড়া আর বিসর্জন হয় সামান্যই৷ আসলে চারদিনের পুজো এখন ‘বারো ইয়ার’-এর পাল্লায় পড়ে আগে-পিছে বাড়তে-বাড়তে কোথাও-কোথাও প্রায় বারোদিনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কলকাতায় ও বাংলায় বারোয়ারির দুর্গাপুজোয় এটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন৷ ‘আগমনি’-র আর প্রয়োজন হয় না, মহালয়া আসতে-না-আসতেই আবরণ উন্মোচিত হয়ে মা হাজির৷

আর এবারের পুজোর বাজারে তো সবচেয়ে বড় খবর, বস্তুবাদী কমিউনিস্টদেরও আর ভাববাদী দুর্গাপুজোয় যোগ দিতে বাধা থাকছে না৷ সিপিআইএমের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলা যায়, মার্কসীয় দ্বন্দ্বমূলক তত্ত্ব ছেড়ে তাঁরাও এবার মাতবেন স্বর্গীয় সুর-অসুরের দ্বন্দ্ব নিয়ে৷ আগামী বার থেকে হয়তো দেখা যাবে কোথাও-কোথাও বামপন্থী পুজোও৷

এর চেয়ে নতুন আর কী হতে পারে!

 

The post বিজয়ার সেকাল এবং বিজয়ার একাল appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement