সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ডুয়ার্সে পূজিত বিশ্বকর্মার বাহন। প্রতিবছরের মতো এবারও হাতির পুজো করা হল গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। পুজোয় শামিল হলেন বনকর্মীদের পাশাপাশি বনবস্তির বাসিন্দারা। পুজো দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরাও। মঙ্গলবার ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপঝোড়ার এলিফ্যান্ট ক্যাম্প গাছবাড়িতে হিলারি, জেনি ,বসন্ত, ডায়না,কাবেরী, হিরালি,ফাল্গুনী, ফুলমতি,মাধুরী, বিজয়া-সহ বন দপ্তরের মোট ৯ টি পোষ্য কুনকি হাতিদের মালা পরিয়ে, সাজিয়ে পুজো করেন মাহুত ও বনকর্মীরা। আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়াতেও কুনকি হাতির পুজো করা হয়।
গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের মোট তিনটি বিটে ২৮ টি হাতির পুজো হয়। প্রতিবছরই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ডুয়ার্সের গরুমারা, ধূপঝোড়া,বুধরাম বিটে গজরাজের পুজো হয়। পিলখানাগুলোতে এবার তাদের পুজোর পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিল স্পেশ্যাল মেনুরও। এলাহি আয়োজন করা হয়েছে খাওয়া-দাওয়ার। আর সেই পুজো দেখতেই ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকরা। পুজো উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই ধূপঝোড়া, রামশাই, গরুমারা ও মেদলার কুনকি হাতিদের নিয়ে মাহুতদের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে।
জানা গিয়েছে, কুনকি হাতিগুলোকে প্রথমে মূর্তি নদীতে ভালো করে স্নান করিয়ে গায়ে নকশা এঁকে সাজানো হয়। এর পর প্রতিটি হাতির গায়ে লিখে দেওয়া হয় তাদের নাম। নিয়ে আসা হয় পুজো মণ্ডপে। শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে চলে পুজো। পুরোহিত সমস্ত নিয়মনীতি মেনে, মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজোর কাজ সারেন। পর্যটকদের পাশাপাশি আশপাশে গ্রামের মানুষজনও প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটিতে হাতি পুজো দেখতে চলে আসেন পিলখানায়। ধুপঝোড়ার বিট অফিসার জীবন বিশ্বকর্মা বলেন, এদিন নটি হাতির পুজো হয়। এই পুজো দেখতে পর্যটকরাও আসেন। পুজোর জন্য দিনের বেলায় হাতির কাজে লাগানো হয়নি। তবে রাতে হাতিদের টহলদারির কাজে লাগানো হবে।
এদিন আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়াতেও বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে হাতিকে পুজো করা হয়। বন দপ্তরের কুনকি হাতিকে এদিন পুজো করা হয়। জলদাপাড়াতে অতিরিক্ত বন্যপ্রাণ আধিকারিক কার্যালয়ে কুনকি হাতি রায়ান, ধর্ময়া, রসারাজা নামে তিন কুনকি হাতি পূজিত হয়। পুজো শেষে তাদের ফল খেতে দেওয়া হয়। প্রথমে কুনকি হাতিদের স্নান করিয়ে সাজিয়ে পুজোস্থলে নিয়ে আসা হয়। তার পর বিশ্বকর্মা পুজো শেষে কুনকি হাতিদের পুজো করা হয়।