shono
Advertisement

চিকিৎসকের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে ঐন্দ্রিলার! বিস্ফোরক অভিনেত্রীর মা

কী বললেন ঐন্দ্রিলার মা?
Posted: 04:08 PM Dec 05, 2022Updated: 04:08 PM Dec 05, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসকের ইগোর কারণেই আমার মেয়েটা চলে গেল! প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার স্মরণসভায় এসে এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালের এক চিকিৎসকের জন্য়ই তিনি তাঁর ২৪ বছরের মেয়েকে হারালেন।

Advertisement

সম্প্রতি এক জীবনবিমা কর্মচারী কমিটির পক্ষ থেকে ঐন্দ্রিলা স্মরণসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার মা। সেখানেই এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ”দুবার ক্যানসার থেকে ফিরে এসেছিল ঐন্দ্রিলা। অনেক কষ্ট পেয়েছিল মেয়েটা। কিন্তু একটিবারের জন্যও ওর চোখে জল দেখিনি। কাঁদতে দেখিনি কখনও। হঠাৎ যে কী হল, হাত-পা নড়া বন্ধ করে দিল। ১০ মিনিটের মধ্য়েই সব কেমন হয়ে গেল। তারপর কোমায় চলে গেল। জানি না কী চিকিৎসা করা হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: মিথ্যে বয়ানের অভিযোগ, আবারও শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে মামলা তৃতীয় স্বামী রোশনের]

ঐন্দ্রিলার মা আরও বলেন, ”দু’জন ডাক্তারের ইগোর সমস্যা চলছিল। আমরা তো চাইব মেয়েকে বাঁচাতে? যিনি অপারেশন করেছেন, সেই ডা. মল্লিক খুবই ভাল মানুষ। উনি খুব সহযোগিতা করেছেন। ডা. পিয়া ঘোষ করেননি, সেটা আমাদের মনের মধ্যে থেকে যাবে। এমআরআই করাটাই ওর পক্ষে ঠিক হয়নি। আমরা এই নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। সবাই কো-অপারেট করেছেন কিন্তু একজন ইগোর কারণে সহযোগিতা করেননি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ঐন্দ্রিলাকে ডিপ কোমায় পৌঁছে দিলেন। ডা. পিয়া ঘোষ কতটুকু চিকিৎসক, কতটুকু মানবিক জানি না। কিন্তু ডা. পিয়া ঘোষ কোনও সহযোগিতা করেননি। অনেক ডাক্তার ওকে দেখেছেন কিন্তু সেই ট্রিটমেন্ট ফলো করা হয়নি। আমার মেয়ে ডাক্তার, অনেক অনুরোধ করেছে কিন্তু উনি শোনেননি। ঐন্দ্রিলা বাঁচতে পারত। ঐ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হত না। যদিও হত ও রিভার্স করত। ওর হার্ট-লাং-কিডনি স্ট্রং ছিল। আমি তো বলবই, সবাই আসছে সাজেশন দিচ্ছেন এটা ওঁর ইগোতে লাগল। একবারও ভাবল না, আমার মেয়েটাকে বাঁচানো দরকার। একটা ২৪ বছরের মেয়ের ক্ষেত্রে এটা করা উচিত হয়নি। এই দুঃখ নিয়েই আমরা বেঁচে থাকব।”

কালার্স বাংলার ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে বাংলা টেলিভিশনের জগতে নিজের অভিনয় সফর শুরু করেন ঐন্দ্রিলা। স্টার জলসার ‘জীবন জ্যোতি’ ধারাবাহিকেও মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তুলির ভূমিকায়। বহুদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। একবার নয় দু-দু’বার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরে। দু’বারই ক্যানসারকে হার মানিয়েছেন অভিনেত্রী।

সুস্থ হয়ে ফের কাজ শুরু করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সব্যসাচী ও তাঁর বেশ সুন্দর সময় কাটছিল। কিন্তু ফের ব্রেন স্ট্রোক আবারও সমস্ত হিসেব ওলটপালট করে দিল। পয়লা নভেম্বরের রাতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীকে ভরতি করা হয় হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে। রাতেই হয় অস্ত্রোপচার। তারপর থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন অভিনেত্রী। শনিবার রাতে অন্তত ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। শরীরে লড়াইয়ের আর কোনও শক্তিই যেন অবশিষ্ট ছিল না। মৃত্যুর সঙ্গে তীব্র পাঞ্জা লড়ে চিরবিদায় নিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল স্বামী’, বিস্ফোরক বাংলাদেশি নায়িকা বাঁধন ]

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement