shono
Advertisement

এপ্রিলেই কর্মীদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল, আমার এফএম বন্ধ নিয়ে পালটা দিল কোম্পানি

কর্মীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করা হয়েছে। The post এপ্রিলেই কর্মীদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল, আমার এফএম বন্ধ নিয়ে পালটা দিল কোম্পানি appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 04:33 PM Jan 27, 2020Updated: 06:48 PM Jan 27, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৩ জানুয়ারি মধ্যরাতে অফ এয়ার হয়ে যায় আমার ১০৬.২ এফএম। নিরুদ্দেশ হয়ে যায় কলকাতার অতি পরিচিত বাংলা গানের ঠিকানা। এফএম স্টেশনে ১০৬.২ টিউন করে শ্রোতাদের কানে ভেসে আর আসে না ‘কলকাতার গান-কলকাতার প্রাণ’। কর্মীদের দাবি, তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টেশনটি। যে কারণে রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু সত্যিই কি বিনা নোটিসে কোম্পানি বন্ধ করে দেয় স্টেশনটি? সত্যিই কি কর্মীদের অজান্তেই ঘটে গিয়েছে গোটা ঘটনাটা? আমার এফএমের পরিচালনায় থাকা হিটস এফএম রেডিও ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে থাকা এয়ারটাইম মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের (AMSI রেডিও) আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে কিন্তু উঠে এল অন্যরকম তথ্য।

Advertisement

গত ২৫ তারিখের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল আমার এফএম অফ এয়ার হওয়া নিয়ে কর্মীদের একাংশের ব্যাখ্যা এবং প্রতিক্রিয়া। তাঁরা জানিয়েছিলেন, আর্থিক অনটনের ‘অজুহাতে’ বেশ কিছুদিন ধরেই এফএম স্টেশনটি বন্ধ করতে চাইছিল হিটস এফএম। কিন্তু কর্মীরা সহজে তাঁদের প্রিয় জায়গাকে বিদায় জানাতে চাননি। নিজেদের উদ্যোগেই এফএম স্টেশনটি চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও সে প্রস্তাবে সাড়া মেলেনি। এরপরই গত অক্টোবর থেকে বন্ধ হয়ে যায় কর্মীদের বেতন। তারপর টানা চার মাস বেতন ছাড়াই কাজ করেন কর্মীরা। বাংলা গান আর বাঙালি শ্রোতাদের ভালবেসে তাঁরা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন আনন্দ। কিন্তু ২৩ জানুয়ারি মধ্যরাতের পর আর কিছুই রইল না। তাঁরা জানতে পারেন, ঠিক এক মাস আগে ২৩ ডিসেম্বর স্টেশনটির লাইসেন্স সারেন্ডার করে দিয়েছিল হিটস রেডিও। কর্মীদের অভিযোগ, এ বিষয়ে তাঁদের আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

[আরও পড়ুন: ‘শিষ্যদের যোগ্য উত্তরসূরি করে তুলতে চাই’ বললেন পদ্মভূষণ পেতে চলা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী]

তবে কর্মীদের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে হিটস এফএম এবং AMSI রেডিও। গত বছরের এপ্রিলেই হিটস এফএমের তরফে কর্মীদের নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বন্ধ হতে চলেছে আমার এফএম। এমনকী এও বলে দেওয়া হয়, এপ্রিল থেকে তিন মাস কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু ওই সময়ের পরও কর্মীরা আমার এফএম ছাড়তে না চাওয়ায় তাঁদের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন দিয়েছিল কোম্পানি। তবে তারপরও নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন কর্মীরা। এফএম স্টেশনটি বন্ধ হবে এবং লাইসেন্স সারেন্ডার হবে জেনেও তাঁরা শ্রোতাদের কিছুই জানাননি। এসবের লিখিত প্রমাণও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থতার জন্যই এখন এসব মিথ্যে প্রচার-বিক্ষোভ করছেন কর্মীরা।

আসলে ২০১৬ সাল থেকে আর্থিক অনটনে ভুগছিল আমার এফএম। পাওয়ার এফএম বন্ধ হওয়ার সময় এই স্টেশনটিও বন্ধ হওয়ার মুখে পড়েছিল। সে যাত্রায় বেঁচে লেগেও বড় অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়ে আমার এফএম। গত বছরের গোড়ার দিকে নতুন ইনভেস্টর এনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল কোম্পানি। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। আধিকারিকদের কথায়, আমার এফএমের পরিস্থিতির বিষয়ে খুব ভালই অবগত ছিলেন কর্মীরা। তাই এখন তাঁদের এমন আচরণে বেশ বিস্মিত হিটস এফএম।

[আরও পড়ুন: হাতিয়ার সৌমিত্র-অপর্ণাদের বক্তব্য, ‘সংবিধান বাঁচাও’ কর্মসূচিতে পথে বাম-কংগ্রেস]

The post এপ্রিলেই কর্মীদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল, আমার এফএম বন্ধ নিয়ে পালটা দিল কোম্পানি appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement