shono
Advertisement

ফের করোনার থাবা বাংলার সাহিত্য জগতে, প্রয়াত বর্ষীয়ান সাহিত্যিক অনীশ দেব

বেসরকারি এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
Posted: 11:56 AM Apr 28, 2021Updated: 12:17 PM Apr 28, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বাংলা সাহিত্য জগতে করোনার (Coronavirus) হানা। গত সপ্তাহেই চলে গিয়েছিলেন কিংবদন্তি সাহিত্য ব্যক্তিত্ব শঙ্খ ঘোষ। বুধবার প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান সাহিত্যিক অনীশ দেব (Anish Dev)। বয়স হয়েছিল ৭০। বেসরকারি এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

Advertisement

মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল, তিনি সংকটজনক। প্রয়োজন ছিল এবি পজিটিভ রক্তের। ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্লাজমার খোঁজে পোস্ট শেয়ার করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তা জোগাড় হলেও ফেরানো গেল না সাহিত্যিককে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সাংস্কৃতিক মহলে। পাশাপাশি বহু সাধারণ পাঠকও তাঁদের শোকবার্তা জান‌িয়েছেন প্রয়াত সাহিত্যিকের উদ্দেশে।

দীর্ঘ লেখালেখির জীবনে কল্পবিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি, রহস্য রোমাঞ্চ ধারায় অসামান্য সব লেখা বাংলার পাঠক উপহার পেয়েছে অনীশ দেবের থেকে। লেখালেখির শুরু ১৯৬৮ সালে অধুনালুপ্ত ‘মাসিক রহস্য’ পত্রিকায়। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল ভয়পাতাল, তেইশ ঘণ্টা ষাট মিন‌িট, ষাট মিনিট তেইশ ঘণ্টা, আমি পিশাচ, অশরীরী অলৌকিক ইত্যাদি। এছাড়াও জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়েও তাঁর প্রবল কৌতূহল ছিল। বিজ্ঞানের হরেকরকম, সহজ কথায় ইন্টারনেট, রোমাঞ্চকর ধুমকেতু প্রভৃতি গ্রন্থে সেই নিদর্শন রয়েছে। এছাড়াও বহু অসামান্য সংকলনের সম্পাদনাও করেছেন তিনি। সাহিত্যকৃতির জন্য পেয়েছেন‌ প্রাচীন কলাকেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার, ড. জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ জাতীয় পুরস্কার। 

[আরও পড়ুন: ‘রাজবাবুদের মতো কেঁদে ভাসানোর মানুষ নই’, করোনা মোকাবিলা নিয়ে বিদ্রুপ দীপ্সিতার]

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন অনীশ। পরবর্তী সময়ে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে যোগ দেন। কয়েক বছর আগে অবসর নেওয়ার পরে এক বেসরকারি কলেজে কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা করে গিয়েছেন আজীবন। 

নানা ধরনের লেখালেখি করলেও কল্পবিজ্ঞানের প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ প্যাশন। অদ্রীশ বর্ধনের মতো কিংবদন্তি সাহিত্যিকের স্নেহধন্য অনীশ দেব শুরু থেকেই এই ধারার পাঠকের বিশেষ ভালবাসা পেয়েছিলেন। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর ‘রোববার’ পত্রিকায় ‘ইউফো’ নামের একটি কলামে লিপিবদ্ধ করে গিয়েছে বাংলা কল্পবিজ্ঞানের এক বিস্তৃত সালতামামি। সেই লেখনী স্তব্ধ হল। রয়ে গেল তাঁর সৃষ্টিসম্ভার, অনুরাগী পাঠকদের জন্য।

[আরও পড়ুন: ‘কে করোনায় মৃত আর কে অক্সিজেনের অভাবে? আলাদা করে বলুন’, দাবি স্বস্তিকার ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement