shono
Advertisement

Mrityupathojatri Review: এই প্রথম বাংলা সিনেমায় একক অভিনয়, কেমন হল রাহুলের ‘মৃত্যুপথযাত্রী’?

কলকাতার একটি মাত্র সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
Posted: 04:30 PM Jun 10, 2022Updated: 04:40 PM Jun 10, 2022

চারুবাক: পরিচালক সৌম্য সেনগুপ্ত এবং প্রযোজক কান সিং সোধা জুটি বেঁধে একটা রেকর্ড করলেন বটে। এই প্রথম বাংলায় একক অভিনেতাকে নিয়ে আস্ত একটা ফিচার ফিল্ম তৈরি হল। সেই কবে ১৯৬৪ সালে প্রায় আটান্ন বছর আগে অভিনেতা প্রযোজক সুনীল দত্ত বাড়িতে ফিরে আবিষ্কার করেন স্ত্রী ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলে গেছেন। তিনি একা! একজন নিঃসঙ্গ মানুষের একাকীত্ব নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার ছবি বানিয়েছিলেন তিনি নিজে। অভিনয় ও পরিচালনা দু’টি কাজই তাঁর। তবে বাংলার এই ছবি ‘মৃত্যুপথযাত্রী’ দু’জন মানুষের চেষ্টার ফল। কান সিং সোধার মতো সাহসী লগ্নিকার না পেলে সৌম্য এমন পরীক্ষার সুযোগ পেতেন না।

Advertisement

 

অভিনেতা রাহুলকেও (Rahul Banerje) ধন্যবাদ একা নিজের কাঁধে ৭৭ মিনিটের  ‘আত্মকথন’ (Soliloquy) বলার সাহস ও ধৈর্য দেখানোর জন্য। ব্যাস, এরপর ছবি কেমন হল বা আদৌ ছবিটা ‘ছবি’ হয়ে উঠল কিনা সেটা আর ভাবলেন না কেউই। রাহুলের চরিত্র সাতজনকে খুন করেছে। কেন? প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিতে বাড়ির লোকের তীব্র আপত্তি ছিল। রাহুলকে অপমান করেছিল তাঁরা। তাই রাগের মাথায় প্রেমিকার মা, বাবা, দাদা – ভাই সব্বাইকে সপরিবারে খুন করেছে। ১২ বছর মামলা চলার পর তাঁকে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন বিচারক। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনেও কোনো ফল হয়নি।

[আরও পড়ুন: শার্পশুটার দিয়ে সলমন খানকে প্রাণে মারার চেষ্টা! প্রকাশ্যে চাঞ্চলকর তথ্য]

ফাঁসি নিশ্চিত। মাত্র ১২ ঘণ্টা পর গলায় ফাঁস পড়বে। তার আগে একা সেলে থাকাটাই নিয়ম। পুলিশ এসে রাহুলকে এক সেই ঘরে রেখে যায়।এবার শুরু রাহুলের স্বীকারোক্তি, অপরাধের জন্য অনুশোচনা, মুক্তির আকুলতা, নিজেকে নিরাপরাধ বিবেচনা করে কিঞ্চিৎ প্রলাপ বকে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

শুধু সুনীল দত্তর অবিস্মরণীয় অভিনয় বাদ দিলেও, পরিচালক সুনীল যেভাবে পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন সেখানে নাটকের পাশাপাশি নিঃসঙ্গ নায়কের জন্য দর্শকের মনে সহানুভূতি জেগেছিল। কিন্তু কলকাতায় একটি মাত্র প্রেক্ষাগৃহে (নজরুল তীর্থ) মুক্তি পাওয়া ‘মৃত্যুপথযাত্রী’ ছবিতে পরিচালকের কোনও যোগ আছে বলেই মনে হল না।ক্যামেরাম্যানকে বেশিরভাগ সময় গরাদের বাইরে ক্যামেরাটি রেখে শুধু রাহুলকে চিৎকার করে সংলাপ বলিয়ে গেলেন। ক্যামেরা দু’বার ছাদের ওপর উঠল। আর বদ্ধ খাঁচায় আহত বেড়ালের মতো শব্দ করে গেলেন রাহুল। একটা বুক মোচড়ানো সংলাপ পর্যন্ত তিনি পাননি। বেচারি আর করবেই বা কী! ভোররাতে স্নানটান করিয়ে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে পুলিশ তাঁকে নিয়ে গেল ফাঁসির মঞ্চে।

এমন ফাঁকিবাজি ছবি দেখিনি। একক অভিনেতা নিয়ে ফরাসি, হলিউডি অন্তত চার-পাঁচটি ছবি দেখেছি। সেখানে পরিচালক এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন, যে আসনের হাতল চেপে ধরে বসে ভাবনায় ডুবে যেতে বাধ্য করা হয়। আর এখানে, মাত্র সোয়া ঘণ্টা সময়ও অত্যন্ত বেশি মনে হয়। সৌম্যর উচিত ছিল পুরো চিত্রনাট্য অন্যভাবে সাজানো। কীভাবে? সেটা তিনিই সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারবেন। দর্শকের আগ্রহ ও উৎসাহ বজায় রাখতে না পারলে এই ধরনের পরীক্ষা নিষ্ফল হতে বাধ্য। হয়েছেও তাই। সবথেকে বড় কষ্ট হচ্ছে রাহুলের মতো একজন ভাল অভিনেতার দুর্দশা দেখে। তিনি নিজেও নিশ্চয়ই এখন উপলব্ধি করতে পারছেন।

ছবি – মৃত্যুপথযাত্রী
অভিনয়ে – রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়
পরিচালনায় – সৌম্য সেনগুপ্ত

[আরও পড়ুন: বিকিনির সঙ্গে টিপ, চুড়ি! প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পুরনো ছবি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ল নিকের?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement