সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পর্কের বিস্তার গাছের শাখা-প্রশাখার মতো। আকাশের হাতছানিতে প্রসারিত হলেও শিকড়ের সঙ্গে নিবিড় যোগ থেকে যায়। তার মাধ্যমেই প্রাণ সঞ্চারিত হয়। ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পাওয়া ‘গুলমোহর’ (Gulmohar) সিনেমার গল্পের সারমর্ম এটাই। ছবির প্রাপ্তি শর্মিলা ঠাকুর ও মনোজ বাজপেয়ীর অভিনয়।
কাহিনির কেন্দ্রবিন্দুতে দিল্লির অভিজাত বাত্রা পরিবার। এই পরিবারে সবচেয়ে বড় কুসুম বাত্রা (শর্মিলা ঠাকুর)। ছেলে অরুণ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে সংসার তার। তিন দশকের বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুসুম। যেদিন বাড়িটি ছাড়া হবে তার আগের দিন রাখা হয়েছিল পার্টি। সেই পার্টি থেকেই সিনেমা শুরু হয়। কুসুম জানায়, পুদুচেরিতে একটি বাড়ি কিনেছে এবং সেখানেই থাকবে। তবে তার আগে এতদিনের বাড়িতে হোলি পালন করবে সবাই মিলে।
[আরও পড়ুন: বিয়ে বিতর্কের মাঝেই বড় চমক, নিজের জীবনকে রুপোলি পর্দায় আনতে চলেছেন রাখি সাওয়ান্ত!]
মায়ের আচমকা ঘোষণায় হতবাক হয়ে যায় অরুণ (মনোজ বাজপেয়ী)। এর মধ্যেই আরও একটি মারাত্মক বিষয় জানা যায়। বাত্রা পরিবারের সঙ্গে অরুণের রক্তের সম্পর্ক নেই। তাকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। অরুণ আগে থেকেই এ সত্যি জানত কিন্তু কখনও পরিবারকে জানতে দেয়নি। ঘটনাচক্রে সকলেই জেনে যায়। সম্পর্কের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়।
পরিচালক রাহুল ভি চিট্টেলা বহুদিন মীরা নায়ারে সঙ্গী ছিলেন। তাঁর সেই সঙ্গের প্রভাব ‘গুলমোহর’ সিনেমায় দেখা যায়। বিশেষ করে বাড়ির দুই কর্মচারীর প্রেমের দৃশ্য। তা ‘মনসুন ওয়েডিং’-এর কথা মনে পড়ায়। এ ছবিতে রাহুলের সম্পদ ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore) ও মনোজ বাজপেয়ী (Manoj Bajpayee)। মা ও ছেলের মান-অভিমানের দৃশ্যগুলি দু’জনে মিলে অসম্ভব ভাল করে তুলেছেন। অরুণের স্ত্রী ইন্দুর ভূমিকায় নজর কেড়েছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী সিমরন। ছবি বেশ ধীর গতির। তবে অতিরঞ্জিত নয়। সাধারণ এক গল্প সাধারণভাবে বলা। হাতে একটু সময় নিয়েই দেখতে শুরু করবেন ‘গুলমোহর’। নটে গাছটি মুড়িয়ে যাওয়ার পরও থাকবে চমক।
ছবি- গুলমোহর
অভিনয়ে – শর্মিলা ঠাকুর, মনোজ বাজপেয়ী, সূরজ শর্মা, উৎসবী ঝা, অমোল পালেকর, সান্থি বালাচন্দ্রাণ, কাবেরী শেঠ
পরিচালনায় – রাহুল ভি চিট্টেলা
[আরও পড়ুন: ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানে নচিকেতা ও চঞ্চলের যুগলবন্দি, ভিডিও দেখে নেটপাড়ায় উল্লাস]
This browser does not support the video element.