সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৫ সাল শেষের পথে। সারাবছর ধরে নানা ঘটনা ঘটে গিয়েছে চারপাশে। তার কোনওটার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী, কোনওটা আবার ক্ষণিকের জন্য ছাপ ফেলে গিয়েছে আমাদের মনে। তেমনই ঘটনাক্রম এবার ঘুরে দেখার সময়। নেটদুনিয়া হোক কিংবা মানুষের মুখে মুখে - রকমারি ভাষা, শব্দ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। ২০২৫ সালে কোন শব্দটি সবচেয়ে বেশি চর্চিত বা ব্যবহৃত? অক্সফোর্ড অভিধান খুঁজে খুঁজে তা বের করে ফেলেছে। তা প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে এনিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে। কোনও মধুর শব্দ নয়, অক্সফোর্ডের অভিধান অনুযায়ী, শব্দটি Rage Bait বা ক্রোধ উদ্রেককারী। যে শব্দের অর্থ মানুষের মনের নেতিবাচক সমস্ত আবেগ উসকে দেওয়া। মূলত সোশাল মিডিয়া থেকেই এই শব্দটি এসেছে, যা বছরভর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করার নজির রয়েছে ২০২৫ সালে।
বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে বছরের সেরা বা সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দ কোনটি। অক্সফোর্ডের 'ল্যাঙ্গোয়েজ ডাটা' সেই শব্দ খোঁজার কাজটি করে থাকে। বলা হচ্ছে, সারাবছর ধরে আমরা কথা বলতে গিয়ে যে শব্দ বেশি ব্যবহার করি, কীভাবে ব্যবহার করি, তার উপর নির্ভর করে। এমন অন্তত কোটি খানেক শব্দ নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়। এই শব্দপ্রয়োগের সঙ্গে যেমন রোজকার ব্যবহারিক জীবন জড়িত, তেমনই সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক জগতের শব্দভাণ্ডারও বিবেচ্য হয়। এবছর অবশ্য খানিকটা ভোটাভুটির পথে হেঁটেছেন অক্সফোর্ডের বিশারদরা। তাতেই দেখা গিয়েছে, সংখ্যাধিক্য মানুষ ভোট দিয়েছেন Rage Bait শব্দে। তাঁদের বক্তব্য, সোশাল মিডিয়ার হাত ধরে এই শব্দটির প্রয়োগ সর্বাধিক।
এবার দেখে নেওয়া শব্দটির বিশেষত্ব ঠিক কী? Rage শব্দটি একেবারে নেতিবাচক। অর্থ প্রচণ্ড রাগ। আর Bait শব্দের অর্থ হল ফাঁদ। ব্যাখ্যা করে বলা যায়, আপনার ভিতরের রাগ, ক্রোধ উসকে দেওয়ার জন্য যেসব উপকরণ আপনার সামনে সাজিয়ে তোলা হয়, সেটাই Rage Bait. সোশাল মিডিয়ায় এমন বেশ কিছু কনটেন্ট বা ছবি দেখা যায়, তাতে আপনার মধ্যেকার 'সুপ্ত দৈত্য' যেন জেগে ওঠে, আপনি সহজ-স্বাভাবিক যুক্তিবুদ্ধি হারিয়ে হয়ে ওঠেন ক্ষিপ্ত, মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এই উসকানি দেওয়ার কাজটিই Rage Bait.
শুধু সোশাল মিডিয়া নয়, আপনার চারপাশে এমন অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে, যাতে আপনি সাময়িকভাবে নিজের শুভ বুদ্ধি হারিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। এতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যেরও বিঘ্ন ঘটে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, Rage Bait শব্দটিকে ২০২৫ সালের সবচেয়ে ব্যবহৃত শব্দ ঘোষণা করে বর্তমান সমস্যা সম্পর্কে সমাজকে জানান দেওয়াও অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষের একটা উদ্দেশ্য।
