নন্দন দত্ত, রামপুরহাট: পাইকারি বাজারে দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। তাই চাষিদের থেকে আলু কিনছে সুফল বাংলা কৃষি বিপণন দপ্তর। বৃহস্পতিবার বীরভূমের ১৫ জন কৃষকের কাছ থেকে কেনা ৭ টন আলু কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন সুফল বাংলা স্টলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাতে জেলার আলুচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার, বীরভূমের আলু চাষিদের কাছ থেকে ৭ টন আলু কেনার পরে কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন সুফল বাংলা স্টলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাইকারি বাজারে আলু চাষিরা ৭ টাকা কেজি দাম পাচ্ছিলেন। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছিলেন চাষিরা। কিন্তু সুফল বাংলার মাধ্যমে আলু বিক্রি করে দাম কিছুটা হলে বৃদ্ধি পেয়েছে, কেজি প্রতি ১০ টাকা ৫০ পয়সা। বীরভূম জেলার আলু চাষের প্রধান কেন্দ্রগুলি রামনগর, ষাটপলশা, কোটাসুর, চাল্টিবাগান, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া ব্লকের হোরিওকা ও দারিয়াপুর অঞ্চলে আলু চাষ হয়। তবে গত কয়েক মাসে সীমান্তে আলু রপ্তানি বন্ধ হওয়ার কারণে স্থানীয় চাষিরা অনেক সমস্যায় পড়েছিলেন। বিশেষত, ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে আলু রপ্তানি বন্ধ থাকায়, বীরভূমের আলু সরাসরি বিক্রি হওয়ার সুযোগ কমে গিয়েছিল। ফলে, বাজারে দাম কমতে থাকে এবং চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছিলেন অনেক কম দামে।
কিন্তু সরকারি উদ্যোগের ফলে বাজারে আলুর দাম কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। এদিকে কৃষকরাও তাঁদের উৎপাদিত আলু পাইকারি বাজারের থেকে বেশি মূল্য বিক্রি করতে সক্ষম হচ্ছেন। বীরভূম জেলা আলু ব্যবসায়ী সম্পাদক দীনবন্ধু মণ্ডল বলেন, "সরকারের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়, তবে এটি কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করছে কৃষকদের প্রতি কতটা সঠিক মূল্য দেওয়া হচ্ছে তার ওপর। যদি সীমান্তের আলু রপ্তানি পুনরায় শুরু হয়, তাহলে কৃষকরা আরও ভালো দাম পেতে পারেন।" আলুচাষি হৃদয় মণ্ডল জানান, "সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আরও বেশি পরিমাণে আলু কিনলে আমরা আরও বেশি উপকৃত হব।" আর এক চাষি পূর্ণচন্দ্র ধীবর জানান, "১৩ কুইন্টাল আলু দিলাম খুব চিন্তায় ছিলাম দাম পেতাম না সুফল বাংলায় বেশি দামে কিনছে চিন্তামুক্ত হলাম।"