সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওরাও পৃথিবীবাসী, ওদেরও মাটি-জল-হাওয়ায় বাঁচার পূর্ণ অধিকার আছে, আছে জীবনের মূল্য। কথা হচ্ছে অবলা, চারপেয়েদের নিয়ে। কিন্তু মানব সভ্যতা অগ্রগতিতে এতটাই বুঁদ যে মাঝেমধ্যেই এসব সাধারণ কথা ভুলে যাই আমরা। তবে এবার সেই মানবিক বোধ ফিরেছে। প্রাণীদের পশম দিয়ে পোশাক বানানোর বিলাসিতা আর নয়। তাদের বাঁচিয়ে রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিলেন নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের আয়োজকরা।
নিউইয়র্ক ফ্যাশন শো-তে মডেলের পরনে পুরো পশমের পোশাক। ছবি: সংগৃহীত।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সাল থেকে পশমের পোশাক পরে র্যাম্পে হাঁটা নিষিদ্ধ হতে চলেছে। প্রাণীকুলের রক্ষায় এই উদ্যোগে ফ্যাশন দুনিয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে পশুপ্রেমী সংগঠনও। ফলে নতুন বছর বিশ্বের অন্যতম নামীদামি ফ্যাশন শো-এ মডেলদের শরীরে আর পশম-পোশাক দেখা যাবে না।
এনিয়ে ঠিক কী জানিয়েছে নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের আয়োজক দ্য কাউন্সিল অব ফ্যাশন ডিজাইনারস অব আমেরিকা বা সিএফডিএ? এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘যেসব প্রাণীকে কেবল পশমের জন্য মেরে ফেলা হয় (যেমন মিঙ্ক, শিয়াল, খরগোশ, কারাকুল ভেড়া, চিনচিলা, কায়োটি, কমন রেকুন ডগ), সেসব প্রাণীর পশম-সহ চামড়ার আবরণ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। আশা করছি, এ সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন ডিজাইনারদের প্রাণিকুল সম্পর্কে আরও গভীরভাবে ভাবতে সাহায্য করবে।’ তাদের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অংশগ্রহণকারীদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, স্প্রিং/সামার ২০২৭ কালেকশন, যা সাধারণত ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে হয়, সেই সময়টাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এমন পশমের পোশাকেই র্যাম্প মাতান মডেলরা। ছবি: সংগৃহীত।
পশমের পোশাক বা ফার কোট তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে বহু প্রাণীকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। তাদের চাপে ২০১৮ সাল থেকেই পশমের পোশাক তৈরি কমানো হয়েছে। বিশ্বের নামী ফ্যাশন শো-গুলির মধ্যে প্রথম পশমের পোশাক নিষিদ্ধ হয় লন্ডন ফ্যাশন উইকে। সেই পদক্ষেপ অনুসরণ করে তা নিষিদ্ধকরণের পথে হাঁটলেন নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের আয়োজনকরা। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে পশুপ্রেমী মহল সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
