সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাস্থ্য বিমা এবং জীবন বিমায় জিএসটি প্রত্যাহার হচ্ছে না! সংসদে দাঁড়িয়ে কার্যত বুঝিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। স্পষ্ট বলে দিলেন, বিমার কিস্তিতে কর নতুন কিছু নয়। এটা জিএসটি চালু হওয়ার আগেও ছিল। তাছাড়া যে ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে এত আপত্তি সেটা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের নয়, জিএসটি কাউন্সিলের। সেই জিএসটি কাউন্সিলের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি।
বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। দিন কয়েক আগে মোদি সরকারেরই মন্ত্রী নীতীন গড়করি এই বিষয়টি নিয়ে চিঠি লেখেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে। তাঁর বক্তব্য, জীবন এবং স্বাস্থ্য বিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি বিমাক্ষেত্রকে সংকুচিত করছে। একই সঙ্গে প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যার মুখে ফেলছে। এর পরই বিষয়টি নিয়ে আসরে নামে তৃণমূল কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: ফের শাহাজাহানের ভাইকে তলব ইডির, আগামী সপ্তাহে হাজিরার নির্দেশ]
প্রথমে সংসদে বিষয়টি তোলে এরাজ্যের শাসকদল। তাতে কাজ না হওয়ায় আসরে নামেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বক্তব্য, “অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, এবং মৃত্যুর মতো কঠিন সময়ে মানুষকে আর্থিকভাবে সাহায্য করাই জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার মূল উদ্দেশ্য। এই বিমাগুলি কঠিন সময়ে স্বজনহারাদের বা বিপদের মধ্যে থাকা পরিবারগুলির সহায় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এভাবে বিমার উপর জিএসটি চাপানো আমনাগরিকের উপর বোঝা বাড়াচ্ছে।” এরপর আসরে নামেন ইন্ডিয়া জোটের অন্য সঙ্গীরাও। মঙ্গলবার সংসদে এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। ছিলেন রাহুল গান্ধী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাঘব চাড্ডা, শরদ পাওয়ার, মহুয়া মৈত্র, শতাব্দী রায়-সহ অন্যান্যরা।
[আরও পড়ুন: ভয়ে ঘুম ছুটেছে ছিটমহলের, বসিরহাটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রামে বিএসএফের নজরদারি]
তবে এসবে বিক্ষোভে রা নেই নির্মলার। তিনি স্পষ্ট বলছেন, যারা এই ধরনের বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তাঁরা আসলে দ্বিচারিতা করছেন। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, "বিমায় কর জিএসটি চালুর আগেও ছিল। আর এটা জিএসটি কাউন্সিলের সদস্য। সেখানে দুই তৃতীয়াংশ সদস্য রাজ্যের প্রতিনিধি। যারা এখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা নিজেদের রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লেখেননি কেন? নিজেদের অর্থমন্ত্রীদের কেন বলেননি জিএসটি প্রত্যাহারের ইস্যুটি জিএসটি কাউন্সিলে তুলতে। এখন যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা আসলে দ্বিচারিতা করছেন।" বস্তুত, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পুরো বিষয়টির দায় জিএসটি কাউন্সিলের উপর ঠেলার চেষ্টা করলেন।