ভারত: ১ (রহিম আলি)
সিঙ্গাপুর: ১ (ফান্দি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসখানেক আগেই কাফা নেশনস কাপে ছুটছিল খালিদ জামিলের ভারতীয় দল। নতুন কোচ খালিদকে নিয়ে সেসময় মাতাতামিও কম হয়নি। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফিরতেই ভারতীয় দলের সেই চেনা ছবি! ছন্নছাড়া, ছন্দহীন, এলোমেলো ফুটবল। যার ফলশ্রুতিতে ফিফা ক্রমতালিকায় অনেক পিছিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও ড্র। শেষ মুহূর্তে সিঙ্গাপুরের রক্ষণের ভুলে রহিম আলি প্রথম আন্তর্জাতিক গোল না করলে আরও লজ্জা অপেক্ষা করছিল ভারতের জন্য।
এমনিতে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের শুরু থেকেই বিশ্রী খেলছিল টিম ইন্ডিয়া। সুনীল ছেত্রীরা প্রথম দুম্যাচ থেকেই মাত্র এক পয়েন্ট পান। সেদিক থেকে দেখতে গেলে গ্রুপ পর্বের শেষ সবকটি ম্যাচই ছিল মরণ-বাঁচন ম্যাচ। কিন্তু এদিন সন্দেশ জিংঘান, লিস্টন কোলাসোদের খেলায় সেই মরিয়া ভাবটাই চোখে পড়ল না। ছন্দহীন-ছন্নছাড়া ফুটবলে একেবারে শুরু থেকেই যেন মুষড়ে ছিলেন খালিদ জামিলের ছেলেরা। আর সেই সুযোগ নিয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখালো সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে মাঝমাঠ থেকে সিঙ্গাপুরের ফুটবলারদের বাড়ানো বলগুলি রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাখা খাইয়ে দিয়েছে ভারতীয় রক্ষণকে।
যদিও গোল পেতে সিঙ্গাপুরকে অপেক্ষা করতে হয় প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময় পর্যন্ত। ওই মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো তেমনই একটি বলে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে গোল করে যান সিঙ্গাপুরের ফান্দি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করা নাড়িয়ে দেয় ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লালকার্ড দেখেন সন্দেশ জিংঘান। লড়াই আরও কঠিন হয় ভারতের। একটা সময় মনে হচ্ছিল, হার অনিবার্য। তবে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে ভাগ্যদেবতা সহায় হন। সিঙ্গাপুরের রক্ষণের ভুলে ফাঁকা গোলের সামনে বল পেয়ে যান রহিম আলি। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ফলে হার বাঁচায় ভারত।
১-১ গোলের ওই ড্রয়ের ফলে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনের অঙ্ক জটিল হল ভারতের জন্য। তবে ক্ষীণ আশা এখনও রয়েছে। ৩ ম্যাচে আপাতত ভারতের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। সিঙ্গাপুরের ৩ ম্যাচে পয়েন্ট পাঁচ। নিজেদের শেষ তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিততে হবে ভারতকে। তারপরও অবশ্য অন্যান্য ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে খালিদ জামিলদের।
