দুলাল দে: ফেডারেশনের বিশেষ সাধারণ সভায় স্বীকৃতি দেওয়া হল নতুন সংবিধানকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো এই সংবিধান গ্রহণ করা হল। তবে সেখানে দু'টি ধারাকে বাদ রাখা হয়েছে। এই সংবিধান পাশ হওয়ার ফলে ফিফার যে ব্যানের আশঙ্কা ছিল, তা এড়ানো গেল।
২০১৭ সাল থেকে এই সংবিধান তৈরি আটকে ছিল। এর আগে ২০২২ সালে ফিফা নির্বাসিত করেছিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে। আগস্ট মাসে ফিফার তরফ থেকে পত্রবোমা দিয়ে জানানো হয়, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিতে সেই সংবিধান পাশ করাতে হবে। সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ফেডারেশনের নতুন সংবিধান অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। সম্ভব হলে চার সপ্তাহের মধ্যে। এদিন সেটা হয়ে গেল। ফলে নির্বাসনের আশঙ্কা থাকছে না।
সুপ্রিম কোর্ট ফেডারেশনের নতুন সংবিধান নিয়ে যে রায় দিয়েছিল, তারই একটা ধারা নিয়ে নতুন করে মূল্যায়ন চেয়েছিলেন ফেডারেশনের আইনজীবী। ফেডারেশনের নতুন সংবিধানে ২৫.৩-র দুটি ধারায় বলা আছে, ফেডারেশনের কার্যকারী কমিটির সদস্য হলে তাঁকে রাজ্য সংস্থার পদ ছাড়তে হবে। যার অর্থ, রাজ্য ফুটবল সংস্থা অথবা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার মধ্যে সদস্য হিসাবে থাকার জন্য যে কোনও একটি সংস্থাকে বেছে নিতে হবে। এখানেই হচ্ছে মূল সমস্যা। ফেডারেশনের বর্তমান কার্যকরী কমিটিতে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস-সহ বেশিরভাগ সদস্যই কোনও না কোনও রাজ্য ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে আছেন। সেই দুটো ধারাকে বাদ দিয়েই সংবিধান পাশ করানো হয়। এই দুটি ধারা নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নেবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাগেশ্বর রাও। যিনি নতুন খসড়া সংবিধান তৈরি করেছেন।
বহুদিন পরে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল। সঙ্গে ফেডারেশনের একদা সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তও। প্রফুল্ল প্যাটেলের বক্তব্য ছিল, যদি দুই ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া যায়, তাহলে অন্যদিকে আলোচনা হোক। তবে সেই বক্তব্য মানা হয়নি। অন্যদিকে এই সভায় ছিলেন ফিফা ও এএফসি প্রতিনিধিরাও।
