প্রসূন বিশ্বাস: ক্লাবকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে সুর চড়াল মহামেডানের ভক্তকুল। বৃহস্পতিবার অন্তত ২০০জন সমর্থক ক্লাবে জড়ো হন। তাঁদের একটাই দাবি, কর্তাদের নানা আচরণে ক্লাবের মানহানি হচ্ছে। তাই অবিলম্বে সরে দাঁড়ানো উচিত কর্তাদের। বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি সমর্থকদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই তুমুল ডামাডোল চলছে সাদা-কালো শিবিরে। শেয়ার হস্তান্তর হয়নি বলে বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে মহামেডানের ইনভেস্টর শ্রাচী। অপর ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলও একই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এহেন জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে মহামেডান ফুটবলারদের বেতন। প্রতিবাদে তাঁরা অনুশীলন বয়কটের পথে হেঁটেছেন। মাঠে এলেও অনুশীলন করতে নামেননি অ্যালেক্সিসরা। গোটা বিষয়টিতে মহামেডান ক্লাবের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে মত বিক্ষোভকারীদের। সেজন্যই বৃহস্পতিবার ক্লাব প্রাঙ্গনে হাজির হন অন্তত ২০০ জন মহামেডান সমর্থক।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই জটিলতা কেটেছে মহামেডান ফুটবলারদের মধ্যে। এদিন যুবভারতীতে ফ্র্যাঙ্কোদের অনুশীলন ছিল। সেখানে পৌঁছে যান মহামেডান সভাপতি ইস্তিয়াক আহমেদ। সঙ্গে মহামেডানের আরও দু-তিনজন কর্তা ছিলেন। সকলেই ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরেই মাঠে নেমে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করেছেন মহামেডানের ফুটবলাররা। কিন্তু ক্লাব প্রাঙ্গনে বিক্ষোভে অনড় সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই ডামাডোল শুরু হয়েছে মহামেডানে। দুই স্পনসরের পত্রবোমা পাওয়ার পর ক্লাব তাঁবুতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন মহামেডান কর্তারা। বাঙ্কারহিলের দীপক কুমার সিং ছিলেন বৈঠকে। শ্রাচীর তরফে রাহুল টোডি ছিলেন জুম কলে। একপ্রকার বাধ্য হয়ে মহামেডান কর্তারা জানান, তাঁরা শেয়ার ট্রান্সফারের কাজটা শুরু করেছেন। কিন্তু কবে সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে, ততদিন পর্যন্ত ক্লাবের কার্যকলাপ কীভাবে চলবে, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। সেজন্যই মহামেডান সমর্থকদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে ক্লাবকর্তাদের। নয়তো পদত্যাগ করুন কর্তারা।