প্রসূন বিশ্বাস: ম্যাচ পিছনো সম্ভব নয়। চিঠি দিয়ে মোহনবাগানকে জানাচ্ছে আইএফএফ। বঙ্গ ফুটবল ফেডারেশনের সচিব অনির্বাণ দত্ত সরকারিভাবে জানিয়ে দিলেন, শেষ মুহূর্তে ম্যাচ পিছনো সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, কলকাতা লিগের সূচি তৈরি হয়েছে ডুরান্ড কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই। মোহনবাগানকেও আগে থেকে সেটা জানানো হয়েছিল।
ডুরান্ড কাপ শেষ না হলে কলকাতা লিগ খেলা সম্ভব নয়। মেসারার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামার দুদিন আগে আইএফএকে জানিয়ে দেয় মোহনবাগান। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা লিগে মোহনবাগানের যা স্কোয়াড রয়েছে, সেখানকার ১৬ জন সদস্য ডুরান্ড কাপে রেজিস্টার্ড রয়েছেন। অর্থাৎ একসঙ্গে দুই লিগে খেলছেন একাধিক ফুটবলার। ফলে বিশ্রাম পাচ্ছেন না তাঁরা। মোহনবাগানের বক্তব্য ছিল, খুব বেশি হলে ডুরান্ডে আর মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলতে হতে পারে। সেই ম্যাচগুলি শেষ হলেই কলকাতা লিগে নামবে দল।
কিন্তু আইএফএ সবুজ-মেরুনের সেই দাবি মানতে নারাজ। অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছেন, সোমবার নৈহাটি বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের আয়োজনের প্রস্তুতি থাকবে। মোহনবাগান যদি সেই ম্যাচ খেলতে না যায়, তাহলে লিগ কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। তারপর কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে মেসারার্সকে ওয়াক ওভার দেওয়া হবে কিনা। বঙ্গ ফুটবল নিয়ামক সংস্থা স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনওভাবেই ম্যাচ পিছনো সম্ভব নয়। সেটা মোহনবাগানকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আইএফএ সচিবের বক্তব্য, "ডুরান্ড এবং লিগের ম্যাচের মাঝখানে ৩ দিন সময় থাকছে। ৩ দিন বিশ্রামে ম্যাচ খেলতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।"
অনির্বাণ দত্তর বক্তব্য, লিগ শুরুর আগে থেকেই আইএফএ প্রাথমিকভাবে সব ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছিল পুজোর আগেই কলকাতা লিগ শেষ করতে চায় তারা। সেজন্য এবার ম্যাচের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। সূচি তৈরির আগে ডুরান্ড কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়। মোহনবাগানও জানত একসঙ্গে দুই টুর্নামেন্ট খেলতে হবে। সেইমতো প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ক্লাবের। তাঁর সাফ বক্তব্য, "একটা দলের জন্য বাকি ২৫টা দলকে অপেক্ষায় রাখা যায় না। তাই লিগ পিছিয়ে দেওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস চিঠি হাতে পাওয়ার আগে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
