মোহনবাগান: ৩ (ম্যাকলারেন-২, কোলাসো)
পাঞ্জাব এফসি: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেমি ম্যাকলারেনের জোড়া ফলা। লিস্টন কোলাসোর পারফেক্ট শট। গ্রেগ স্টুয়ার্টের দুরন্ত আক্রমণ। এবং বিশাল কাইথের ক্লিনশিট। ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে এই হল মোহনবাগানের রিপোর্ট কার্ড। যে রিপোর্ট কার্ডের উপরে জ্বলজ্বল করছে যে চলতি আইএসএলে প্রথম দল হিসেবে সুপার সিক্সে পৌঁছে গেলেন জোসে মোলিনার ছেলেরা।
বুধবার যুবভারতীতে প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাকলারেনকে সামনে রেখে দল সাজিয়েছিলেন মোলিনা। ঠিক তার পিছনেই স্টুয়ার্ট। এদিনও কামিংসকে প্রথম একাদশে রাখেননি সবুজ মেরুন কোচ। টম অলড্রেড, আপুইয়া, অনিরুদ্ধ থাপা না থাকলেও যে মোহনবাগানের শক্তিতে ক্ষয় ধরে না, সেটাই প্রমাণ করে দিল এদিনের টিম গেম। শুরু থেকেই পাঞ্জাব এফসিকে চাপে রাখার চেষ্টায় ছিলেন স্টুয়ার্টরা। স্কট স্ট্রাইকারের জোড়া আক্রমণ শক্ত হাতে প্রতিহত করেন রবি কুমার। কোলাসোর নিশ্চিত গোলও আটকে দেন পাঞ্জাব গোলকিপার। আর সেই সৌজন্যেই প্রথমার্ধে গোল মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় মোহনবাগান।
প্রথম ৪৫ মিনিট ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর খেলা জমে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধে। দুই দলই মুহুর্মুহু আক্রমণ শানায়। পাঞ্জাবের নিশ্চিত গোল বারে লেগে ফিরে আসে। বাকি কৃতিত্ব সেই কাইথের। তাঁর বিশাল হাতেই এবারও ক্লিনশিট মোহনবাগানের। এই ম্যাচে নামার আগেই আইএসএলে পঞ্চাশটি ক্লিনশিট রাখার নজির গড়েছেন তিনি। যার জন্য এদিন তাঁকে আইএসএলের পক্ষ থেকে পঞ্চাশ লেখা স্পেশাল জার্সি তুলে দেওয়া হয়।
খেলার বয়স যখন ৫৬ মিনিট, অপেক্ষার ইতি ঘটে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। ম্যাকলারেনের দুরন্ত শটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। সাত মিনিট পর ডানদিক থেকে কোলাসোর নিখুঁত লং শট স্টুয়ার্টের পায়ের ডিফ্লেক্টে জড়িয়ে যায় জালে। তবে গোলদাতার পাশে কোলাসোর নামই লেখা হয়। আর পানাজিওতিস দিপ্রেরিসের দলের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতলেন সেই ম্যাকলারেনই। পাঞ্জাবকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে টানা পঞ্চমবার সুপার সিক্সের টিকিট পাকা করে ফেলল মোহনবাগান। সেই সঙ্গে লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়েও আরও একধাপ এগিয়ে গেল মোলিনা ব্রিগেড। অন্যদিকে ১৮ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে ৯ নম্বরে পাঞ্জাব।