সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেসির পায়ের জাদুতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাল ইন্টার মায়ামি। শনিবার রাতে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য এমএলএস কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব। ফ্লোরিডায় একপেশে ম্যাচ ভ্যাঙ্কুভারকে ৩-১ গোলে হারালেন রদ্রিগো দে পলরা। ম্যাচের নায়ক সেই মেসি। নিজে গোল না করলেও তাঁর বাড়ানো পাস থেকেই দুটি গোল পেলেন সতীর্থরা।
ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে কার্যত একপেশে ম্যাচে জয় পায় মায়ামি। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৮ মিনিটেই ফুলব্যাক এডিয়ার ওকাম্পোর আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ভ্যাঙ্কুভার। সমতায় ফিরতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ৬০ মিনিট পর্যন্ত। আলি আহমেদের গোলে সমতা ফেরায় ভ্যাঙ্কুভার। এরপরই শুরু হয় মেসি ম্যাজিক। মাঝমাঠে বল কাড়া, ড্রিবল, পাস বাড়ানো সবেতেই সেই ম্যাজিক্যাল টাচ। তাঁর বাড়ানো পাস থেকেই ৭১ মিনিটে গোল করে ভ্যাঙ্কুভারকে এগিয়ে দেন দে পল। সংযুক্ত সময়ে গোল করেন তাদেও আলেন্দে সেটির অ্যাসিস্টও করেন এই মেসিই।
ইন্টার মায়ামির ইতিহাসে এটাই প্রথম এমএলএস কাপ। আসলে মেসি এই ক্লাবের ইতিহাসই বদলে দিয়েছেন। আনকোরা যে দলটি একটা সময় এমএলএসে তলানিতে থাকতে তাঁরাই এখন চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে লিও-র সৌজন্যেই। স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবের সাফল্যে খুশি এল এম টেন। তিনি বলছেন, "এ বছর আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল এমএলএস জেতা। এজন্য সকলে প্রচুর পরিশ্রম করেছে। দীর্ঘ মরশুম, প্রচুর ম্যাচ খেলতে হয়েছে। শেষে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি। ভালো লাগছে।"
তাঁর বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। মেসি নিজে নিশ্চিত নন, তিনি খেলবেন কিনা। আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনিও নিশ্চিত নন মেসি খেলবেন কিনা। কিন্তু ক্লাবের জার্সিতে যে ফর্মে মেসি রয়েছে তাতে তাঁকে নিশ্চিতভাবেই লিওনেল স্কালোনি মেসিকে নিজের বিশ্বকাপ দলে চাইবেন।
