মোহনবাগান: ৫ (আলবার্তো ২, ম্যাকলারেন ২, রবসন ১)
গোকুলাম: ১ (আপুইয়া আত্মঘাতী)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় জয় দিয়ে আইএফএ শিল্ড অভিযান শুরু করল মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার বিতর্কের আবহে শুরু কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে শুরু হল ম্যাচ। তবে ম্যাকলারেন, রবসনরা বিতর্কের জবাব মাঠে দেওয়ার পণ করেই নেমেছিলেন। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ আই লিগের দল গোকুলাম কেরালা এফসি'কে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিলেন জোসে মোলিনার ছেলেরা।
ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে হারের ফলে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। সবদিক বিচার করে এই মুহূর্তে যথেষ্টই চাপে ছিল মোহনবাগান। তাই যেনতেন প্রকারে ম্যাচ জয়কেই পাখির চোখ করেছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ত লিস্টন কোলাসো, দীপক টাংরি ও সাহাল আবদুল সামাদ। বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে রয়েছেন সুহেল ভাট ও দীপেন্দু বিশ্বাসরা। এঁদের ছাড়াই আপাতত দল সাজিয়েছিলেন মোলিনা।
এদিন শুরু থেকেই গোছানো ফুটবল উপহার দেয় মোহনবাগান। আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলতে থাকেন কিয়ান থেকে মনবীর, রবসন থেকে ম্যাকলারেনরা। এর ফলও মেলে হাতেনাতে। ১১ মিনিটে আলবার্তো রদ্রিগেজের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। গোল হজম করার পর দমে যায়নি গোকুলাম কেরালার ফুটবলাররাও। খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে বেশ কয়েকবার সবুজ-মেরুন রক্ষণে উঠে আসছিলেন তারা। বাগান রক্ষণ আঁটসাঁট ছিল। ২৭ মিনিটে জেমি ম্যাকলারেন ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রথমার্ধে খেলার ফলাফল ছিল মোহনবাগানের পক্ষে ২-০।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, ৪৮ মিনিটে আপুইয়ার আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় গোকুলাম। তাতে অবশ্য লাভের লাভ কিছু হয়নি। এরপর কার্যত আরও তেড়েফুঁড়ে ওঠে মোহনবাগান। ৫১ মিনিটে ফের গোল আলবার্তোর। এর ঠিক ৩ মিনিট পর গোকুলামের জালে বল জড়ান রবসন। ৭৫ মিনিটে মোহনবাগানকে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ম্যাকলারেন। সেটাই ছিল জয়সূচক গোল। কলকাতায় আসার আগে মাত্র পাঁচ দিন অনুশীলন করেছে গোকুলাম। সেখানে মোহনবাগান ডুরান্ড কাপ খেলে ফেলেছে। মোলিনার এই মরশুমে নিজের দলের অবস্থান নিয়ে যথেষ্টই ধারণা রয়েছে। ফলে বাগান যে গোছানো ফুটবল আশা করা গিয়েছিল, তা অনেকটাই দেখা গিয়েছে। এদিন জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরা পুরস্কার পান ম্যাকলারেন। মোহনবাগানের পরের ম্যাচ ১৫ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ ইউনাইটেড স্পোর্টস।
