সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-০ হারিয়ে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে উঠেছে মোহনবাগান। কিন্তু জয়ের আনন্দ ভুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন সবুজমেরুন সমর্থককুল। তাঁদের বিক্ষোভে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বুধবারের কিশোর ভারতী। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তারপর গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচ খেলতে ইরানে যায়নি মোহনবাগান। সেই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। তাই এদিন ম্যাচ চলাকালীন দর্শকাসন থেকেও কটাক্ষ উড়ে আসে ফুটবলারদের উদ্দেশ্য করে। ক্ষোভের আরও বহিঃপ্রকাশ ঘটে বুধবার ম্যাচের পর। খেলা শেষ হতেই কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। ফুটবলারদের ঘিরে স্লোগান দেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। খানিক পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গোটা ঘটনায় মুখ খুলেছেন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস। তিনি বলেন, "মোহনবাগান সমর্থকদের গায়ে পুলিশের লাঠি লাগা মানে সেটা আমার গায়ে লাঠি লাগার মতো। এই ঘটনা একেবারেই উচিত নয়। তবে এটাও ঠিক, প্লেয়াররা যখন ৯০ মিনিট খেলে বেরচ্ছে, তখন বিক্ষোভ দেখানোটাও উচিত নয়। প্লেয়াররাও খেলেন যাতে সমর্থকরা আনন্দ পান। তাই খেলে বেরনোর মুখে এরকম বিক্ষোভ বন্ধ হওয়া উচিত।"
তিনি আরও বলেন, "আমি এখন কলকাতার বাইরে আছি। কিন্তু মোহনবাগান সভাপতি দেবাশিস দত্তের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, সমর্থকদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলকে হারানো।" উল্লেখ্য, শনিবারের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হতে চলেছেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা। জেসন কামিংস এবং দিমির গোলে ২-০ জেতে মোহনবাগান। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন রবসন।
